চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ নতুন কিছু নয়। প্রায় প্রতিদিনই এধরনের একাধিক অভিযোগ উঠছে সরকারি হাসপাতাল গুলিতে। একের পর এক অভিযোগ উঠলেও এবিষয়ে যেন নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে প্রশাসন। আর তাদের এই নীরবতার কারণেই বারবার প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের স্বাস্থ্যপরিসেবা। বিশেষ করে রাজ্যের প্রধান দুই হাসপাতাল আগরতলা আইজিএম ও জিবি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অহরহ উঠছে এধরনের অভিযোগ। তা আরো একবার প্রত্যক্ষ করা গেল বুধবার রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতাল জিবিতে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অবহেলার কারণে আবারো মৃত্যুর ঘটনার অভিযোগ।এবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হলো ১৭ বছরের এক নাবালকের। মৃত নাবালকের নাম প্রসেনজিৎ মজুমদার। হাসপাতালে সফল অস্ত্র প্রচারের চব্বিশ ঘন্টার ব্যবধানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় এই নাবালকের। জানা যায় পেটে পাথরের অপারেশনের জন্য গত ১৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় দক্ষিণ বিলোনিয়ার ঋষ্যমুখ এলাকার প্রসেনজিৎকে। সেখানে তার রোগ অনুযায়ী চলছিল চিকিৎসা। এরমধ্যেই গতকাল তার অস্ত্র প্রচার হয়। অস্ত্র প্রচারের পর চিকিৎসকরা প্রসেনজিতের পরিবারকে আস্বস্ত করেন যে অনেকটা সফলতার সাথেই সম্পন্ন হয়েছে অস্ত্র প্রচার। এর মধ্যেই বুধবার সকালে আচমকা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে এই নাবালক। সফল অস্ত্র প্রচারের পর এভাবে প্রসেনজিতের মৃত্যু কোন অবস্থাতেই যেন মেনে নিতে পারছে না তার পরিবারের লোকজন। তাদের অভিযোগ গাফিলতির কারণেই এভাবে অকালে মৃত্যু হল প্রসেনজিতের। আর এই অভিযোগকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য দেখা দেয় গোটা হাসপাতাল চত্বরে। এদিকে পরে প্রসেনজিতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের শেষে পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।