ত্রিপুরা হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ১০৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের আবেদন মঙ্গলবার খারিজ করে দেয় । ত্রিপুরা হাইকোর্টের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রধান বিচারপতি অপরেশ কুমার সিং, বিচারপতি টি অমরনাথ গৌড় এবং বিচারপতি অরিন্দম লোধের সভাপতিত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আবেদনকারীকে ২৫,০০০ টাকা জরিমানা ধার্য করেছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সিদ্ধার্থ শঙ্কর দে মঙ্গলবার বলেন এই ফুল বেঞ্চের রায়ের সৃষ্টি হয়েছে সিঙ্গেল ব্যাঞ্চের রায় যা পাশ করা হয়েছিল ২০২২ সালে। আবেদন কারি উল্লেখ করেছেন যে তার চাকরি বাতিল করা যায় না। যিনি সে সময়ে চাকরি পেয়েছেন যখন নতুন চাকরি নীতি অবলম্বন করা হয়েছিল। সে বলেছিল যে তাকে কোন নোটিশ না দিয়ে সরকার তার বাতিল করতে পারে না।এই ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের আবেদন ছিল যে নোটিশ দিয়ে সরকার কাউকে টারমিনিটেড করে নি।যেখানে আদালত বলেছিল যে তাদের প্রত্যেককে টার্মিনিটেড করা প্রয়োজন কারন পুরো সিলেকশন পদ্ধতিটি ছিল ভুল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টেও তাদের আবেদন খারিজ হয়ে যাবার পরও রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে যে এই চাকুরিচ্যুত শিক্ষকদের সময়সীমা বাড়ানো হউক কেননা রাজ্য সরকার সে সময় সেই জায়গায় ছিল না যে সে সকল পোস্ট গুলো পূরণ করতে পারে। এতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যায়ে পর্যায়ে রাজ্য সরকারকে সময় দিয়ে তা মার্চ ২০২০ পর্যন্ত বেঁধে দেয়। এর পর আর কোন সময় সীমা দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেয়।এদিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন রাজ্য সরকার শুধু সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের আদেশ ফলো করেছেন। রাজ্য সরকার কোন ১০৩২৩ শিক্ষককে টার্মিনেটেড করে নি। সেক্ষেত্রে এখানে কোন প্রশ্নই উঠে না যে সরকার এই ব্যাপারে কোন নোটিশ ইস্যু করবে।যদি কোন নোটিশ ইস্যু করতে হয় তবে তা আদালত করবে। তন্ময় নাথ এবং বিজয় কৃষ্ণের কেইসে আদালত স্পষ্ট বলেছে যে এই ধরনের নোটিশ সংবাদ মাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। তাই এ ক্ষেত্রে আদালতে এসে বলা যে কোন নোটিশ পাওয়া যায় নি তা একপ্রকার হাস্যকর। এই আবেদন বাতিল করা হয় এবং তাদেরকেও বলা হয় যে তারা সকলেই নোটিশ পেয়েছে তাই আবেদন কারিকে বলা হয় যে এমনটা কি দেখাতে পারবে যে তন্ময় নাথ মামালার ক্ষেত্রে যে রায় দেওয়া হয়েছিল তার থেকে তা কোন ক্ষেত্রে ভিন্ন । তাই একই ধরনের আবেদন বার বার করায় শেষে এদিন আদালত ২৫০০০ টাকা জরিমানা করে।প্রসঙ্গত তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক গুপ্তা এবং বিচারপতি এস সি দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ 7 মে, 2014 তারিখে 10,323 জনের চাকরির অবসান ঘটিয়েছিল। হাইকোর্ট শিক্ষকদের জন্য প্রয়োজনীয়তা এবং যোগ্যতা-ভিত্তিক চাকরির জন্য রাজ্য সরকারের যুক্তি পর্যবেক্ষণ করেছিল এবং বজায় রেখেছিল যে নিয়োগ নীতিটি সাংবিধানিক সীমার বাইরে বলে মনে হয়েছিল, যা সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা বহাল ছিল।