দলিত ও শোষিত মানুষের উপর বঞ্চনা এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবং সাংবিধানিক অধিকার ও সামাজিক ন্যায় লড়াই প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১১ দফা দাবিকে সামনে রেখে শনিবার আগরতলা টাউন হলে রাজ্য কনভেনশন সংঘটিত করে ত্রিপুরা তপশিলি জাতি সমন্বয় সমিতি। রাজ্যভিত্তিক এই কনভেনশনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিআইএম পলিটব্যুরোর অন্যতম সদস্য মানিক সরকার। এছাড়াও বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলিত শোষণ মুক্তি মঞ্চের সর্বভারতীয় সম্পাদক রামচন্দ্র ডোম, সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, তপশিলি জাতি সমন্বয় সমিতির রাজ্য সভাপতি রতন ভৌমিক, সম্পাদক সুধন দাস প্রমুখ। কনভেনশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন সামনেই নির্বাচন। এই নির্বাচন সরকার ভাঙ্গা-গড়ার নির্বাচন। সব দল তাদের মত করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। শাসক দল বিজেপি সরকারি টিকে থাকতে চাইছে। বিরোধীদের বড় অংশ বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে উৎপাত করার জন্য বিকল্প জনমুখী একটা ন্যূনতম কর্মসূচি জনগণের স্বার্থে কাজ করার লক্ষ্যে একটা সরকার প্রতিষ্ঠা করা যায় কিনা সেই চেষ্টা করছে। বিজেপির অবস্থা ভালো নেই। ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে বিচার করলে ভুল হবে। ত্রিপুরার পরিস্থিতিও বিজেপির পক্ষে নয়। আগামী লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপিকে হটানোর জন্য যে লড়াইয়ের বার্তা সাধারণের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বিরোধীরা তাকে মাথায় রেখে দায়িত্ব নিতে হবে। শুধু তপশিলি অংশের মানুষের কথা ভাবলে হবে না। বিজেপিকে সরকারে রেখে তপশিলিদের স্বার্থ রক্ষা সম্ভব নয়। তাই সরকারটা হঠাৎ যে স্লোগান উঠল সারাদেশে সেই স্লোগানকে সংঘাত করতে গেলে ত্রিপুরাতেও মানুষকে রাস্তায় নামতে হবে। মানুষকে নিয়ে রাস্তায় নামতে পারলেই দিল্লিতে যে দোকানটা উঠলো তা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে।