দক্ষিণ ভারতের তথা বণিজ্য নগরী মুম্বাইয়ের সংস্কৃতি বেশ কয়েক বছর ধরেই আছড়ে পড়েছে রাজ্যের মাটিতে। একটা সময় গণপতি বাপ্পা মারিয়া এই ধ্বনি শুধু শোনা যেত মুম্বাই নগরীতে অনুষ্ঠিত গণেশ পূজায়। কিন্তু এই ধ্বনি কালক্রমে পার্বত্য এই রাজ্যেও প্রসার ঘটছে। গণেশ পূজা যেন রাজ্যে এখন একটা অন্যতম উৎসবে পরিণত। আর এর মধ্য দিয়েই যেন রাজ্যের মানুষ নতুন নতুন উৎসব সংস্কৃতিতে নিজেদেরকে জড়িয়ে নিচ্ছে। রাজ্যে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে গণেশ পূজো। আগরতলা শহর তো বটেই অলিগলি বনেদি ক্লাব গুলিতেও ব্যাপক সমারোহে এবছর আয়োজন করা হয় গণেশ বন্দনা। আর এই পুজোকে ঘিরে নতুন করে সেজে উঠেছে যেন শহর আগরতলা। গণেশকে কেন্দ্র করে টানা তিন চারদিন চলে উৎসব। ফলে স্বাভাবিকভাবেই গণেশ চতুর্থী এখন রাজ্যে একটি অন্যতম বড় উৎসবে পরিণত। গনেশ পূজা এক কথায় যেন এক নতুন ট্রেডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যবাসীর কাছে। নির্দিষ্ট কোন জনগোষ্ঠী নয় বরং একলাফে সব অংশের জনগোষ্ঠীর কাছেই তিনি যেন হয়ে উঠলেন গণেশ বাবা। দেব শিল্পী বিশ্বকর্মার হাত ধরে যেখানে বছরের পর বছর উৎসব মরশুমের সূচনা হতো বাঙ্গালী অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে, সেখানে সামনের সারিতে এসে নিজেকে দাঁড় করিয়েছেন গনেশজি। তিথি অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে শুরু হলো গণেশ পূজা। যদিও গতকাল থেকেই পূজার মণ্ডপ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে গেল পূজার আমেজ। ধর্মীয় নিষ্ঠার সাথে মঙ্গলবার মণ্ডপে মন্ডপে শুরু হয় গণেশের আরাধনা। যা চলবে টানা তিন চার দিন। আর এই উৎসবকে ঘিরে রাজ্যের ধর্মপ্রাণ উৎসব প্রেমী জনগণের মধ্যে এখন তৈরি হয়েছে ব্যাপক উন্মাদনা। তবে যেভাবে রাজ্যে গণেশ পূজার সংখ্যা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে তা থেকে নিশ্চিত করেই বলা যেতে পারে আগামীদিন এর প্রসার আরো অনেকটা বেড়ে যাবে।