মাঝে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে কাউন্ট ডাউন। এরপরই তিথি মেনে সপরিবারে পূজিতো হবেন দেবী দুর্গা। তাই বাঙালির চিরশ্রেষ্ঠ এই উৎসবকে সামনে রেখে পাড়ায় পাড়ায় অলিগলি থেকে শুরু করে সর্বত্রই শুরু হয়ে গেছে জোরদার প্রস্তুতি। বিশেষ করে বিগ বাজেটের ক্লাব গুলি এবারো পূজোর দিনগুলিতে নিজেদের ক্লাব প্রাঙ্গনে রেকর্ড সংখ্যক দর্শনার্থী সমাগম করতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি করছেন আকর্ষণীয় প্যান্ডেল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে এখন বিগ বাজেটের ক্লাবগুলিতে প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ। তবে আসন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে ক্লাবগুলিতে জোরদার তৎপরতা চললেও, বসে নেই আরক্ষা প্রশাসনও। উৎসবে দিনগুলিতে শান্তির পরিবেশ বজায় রেখে নির্বিঘ্নে পূজা সম্পূর্ণ করতে এবারও যেন বদ্ধপরিকর রাজ্য পুলিশ প্রশাসন। রবিবার সরকারি ছুটির দিন এমনটাই দেখা গেল আগরতলা পূর্ব থানায়। এদিন পূর্ব থানার অন্তর্গত পূজার আয়োজক সবগুলি ক্লাব কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রাথমিকভাবে এক প্রস্থ বৈঠক সেরে নিলেন পুলিশের আধিকারিকরা। পূর্ব থানার অধীনে এখনো পর্যন্ত নথিভুক্ত পূজার সংখ্যা ৮৮ টি। তাই পূজা উদ্যোক্তা ক্লাবগুলির প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। এতে উপস্থিত ছিলেন সদরের এসডিপিও দেবপ্রসাদ রায় সহ পুলিশের অন্যান্য আধিকারিকরা। আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে যানজট সহ আরো বিভিন্ন বিষয়ে উঠে আসে এদিনের বৈঠকে। পুলিশ প্রশাসনের তরফে বেশ কিছু সরকারি নিয়ম-কানুন এদিন তুলে ধরা হয় ক্লাব প্রতিনিধিদের সামনে। তবে আলোচনা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নেশা। পুজোয় শান্তির পরিবেশ বজায় রাখতে নেশার বিরুদ্ধে ক্লাবগুলিকে পূর্ণ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানানো হয়।