রাজধানী শহর সংলগ্ন মধ্য প্রতাপগড় বঙ্গেশ্বর নদীর উপর যাতায়াতের কাঠের ব্রিজটি দীর্ঘদিন আগেই ভেঙে পড়ে। মেরামতের কোন উদ্যোগ ছিল না। বর্তমানে কাঠের ব্রিজটি ধ্বংসে পরিণত। অথচ ওই এলাকাতে যাতায়াত করার জন্য এই ব্রিজটির উপর নির্ভরশীল ছিলেন মানুষ। এই ব্রিজটি ব্যবহার করে অনেক সহজেই মানুষ যোগাযোগ করতে পারতেন। এই অবস্থায় কাঠের ব্রিজটি ভগ্নদশা হয়ে পড়লে এলাকার মানুষের যোগাযোগের স্বার্থে বিকল্প একটি বাঁশের সেতু তৈরি করে দেওয়া হয়। বর্তমানে এই বাঁশের অস্থায়ী সেতুটিও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিকল্প কোনো সহজ রাস্তা না থাকায় এক প্রকার জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ঝরাজীর্ণ সেতু ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয়রা। অস্থায়ী এই সেতুর কিছু কিছু জায়গায় বাঁশ ফেটে ভেঙ্গে পড়ার মতন অবস্থা হয়ে রয়েছে। এতে করে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বাঁশের সেতু দিয়ে শুধুমাত্র দুই চাকার যানবাহন ও পথচারীরা ছাড়া কোন যানবাহন চলাচল সম্ভব নয়। এই নদীর উপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই জানিয়ে আসছে এলাকার ভুক্তভোগী নাগরিকরা। শুধু আশ্বাস ছাড়া আর কিছু জুটেনি তাদের ভাগ্যে। অথচ শহর থেকে এই সেতুর দূরত্ব মাত্র কয়েক কিলোমিটার। পাকা সেতু নির্মাণ হলে এলাকার নাগরিকরা দারুণভাবে উপকৃত হতো। কিন্তু বারবার পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানানো সত্ত্বেও নির্বাচিত প্রতিনিধি থেকে শুরু করে স্থানীয় শাসকদলের নেতৃত্বদের কোন ধরনের হেলদোল নেই। এতে করে স্বাভাবিকভাবেই চাপা ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। তাদের এখন একটাই দাবি এলাকার সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে বঙ্গেশ্বর নদীর উপর একটি পাকা সেতু নির্মাণের।