গোটা দেশের সাথে রাজ্য সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত জাতীয় শিক্ষক দিবস। দেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ডক্টর সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিনটিকেই প্রতিবছর জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসাবে উদযাপন করা হয়। মূলত শিক্ষক সমাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এবছরও গোটা দেশ জুড়ে শ্রদ্ধার সাথে উদযাপিত হয় ৬২ তম শিক্ষক দিবস। রাজ্য সরকারিভাবে শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে মূল অনুষ্ঠানটি হয় আগরতলা রবীন্দ্র শতবার্ষিকীভবনে। রাজ্যভিত্তিক এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি হরিদুলাল আচার্য সহ শিক্ষা দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠানে এবছর পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সম্মান প্রদান করা হয় আগরতলা সরকারি মেডিকেল কলেজের ডঃ কনক নারায়ন ভট্টাচার্য ও তার টিমকে। বিশেষ সমাজ সেবামূলক কর্মসূচির জন্য মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য সম্মান প্রদান করা হয় প্রয়াতর নগেন্দ্র জমাতিয়াকে। তার হয়ে এই সম্মান গ্রহণ করেন পুত্র কাহামুক জমাতিয়া। মহারানী তুলসীবতি সম্মান তুলে দেওয়া হয় বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব শ্রীমতি সাহিষ্ণু জমাতিয়ার হাতে। এছাড়া ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী সম্মান দেওয়া হয় বিশিষ্ট সমাজসেবী ভীষ্ম গুপ্তাকে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা বলেন সঠিক ও গুণগত শিক্ষা দেশকে দিশা দেখায়। সেই শিক্ষার বিকাশে শিক্ষকরাই গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক। তারা সমাজের মেরুদন্ড তথা মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষক দিবসের বিশেষ দিনে তাই সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিনন্দন জানিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন শিক্ষাকে গুণগতমান বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করছে রাজ্যের বর্তমান সরকার। এবারের বাজেটও অনেকগুলি বিষয় রাখা হয়েছে।