১৯৬৬ সালে গোটা রাজ্যে তীব্র খাদ্যের সংকট দেখা দেয়। আর এই সংকট দূরীকরণের দাবিতে সেই সময় গোটা রাজ্যে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে বামপন্থীরা। আগরতলা সহ গোটা রাজ্যেই রাস্তায় নেমে কাজ ও খাদ্যের দাবিতে আন্দোলন সংঘটিত করে বামপন্থীরা। ২৯ আগস্ট দিনটিতে আগরতলায় আন্দোলন প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে মৃত্যু হয় দিলীপ, তরুণ ও অরবিন্দ নামে চার ছাত্র। ঠিক তেমনি ১৯৯০ সালে ২৯ শে আগস্ট দিনটিতেই শান্তির বাজারের দেবদারুতে রাতের আঁধারে খুন হন যুব আন্দোলনের নেতৃত্ব সুমিত্রা সিনহা ও রাজেশ্বর সিনহা। এরপর থেকেই প্রতিবছর ২৯ শে আগস্ট দিনটিকে শহীদান দিবস হিসেবে উদযাপন করে আসছে বামপন্থী চার ছাত্র যুব সংগঠন ডি ওয়াই এফ আই, টি ওয়াই এফ, এস এফ আই ও টি এস ইউ। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। বিগত দিনের মতোই এবারও শহীদ হওয়া ছাত্র যুবদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করলো এই চার সংগঠন। এদের রাজ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে মূল অনুষ্ঠানটি হয় আগরতলা ছাত্র যুব ভবনে। সেখানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান চার সংগঠনের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেখানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডি ওয়াই এফআই রাজ্য সভাপতি পলাশ ভৌমিক, সম্পাদক নবারুণ দেব, টি ওয়াই এফ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক কুমুদ দেববর্মা, এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সন্দীপন দেব, টিএসইউ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুজিত ত্রিপুরা প্রমূখ। শহীদদের স্মৃতি প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এদিন যুবনেতা নবারুণ দেব জানান, আজকের দিনেও গোটা দেশের সাথে রাজ্যেও মানুষের খাদ্যের যেমন সংকট রয়েছে তেমনি রয়েছে কাজের সংকট। কাজের সংকট থেকেই তৈরি হচ্ছে খাদ্যের সংকট। উপজাতি অংশের মানুষ খাদ্যের জন্য রেশন কার্ড বন্ধক দিয়ে খাদ্য সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এছাড়া ঘাতকরা নানাভাবে সক্রিয় হয়ে গোটা রাজ্যে একটা নৈরাজ্যের পরিবেশ কায়েম করে রেখেছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যই আজকের দিনের শপথ।