রাজ্যে এখন সবচেয়ে বড় চেলেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ড্রাগসের নেশাকে প্রতিহত করা। যদিও রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, সচেতন নাগরিকরা এই নেশার বিরুদ্ধে সোচ্চার। এই ড্রাগসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার চিত্র প্রায়ই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে সামনে আসছে। শুক্রবারও আগরতলার জগন্নাথ জিউ মন্দির প্রাঙ্গণে পুন্যার্থিদের মাঝে এক বহিরাগত যুবককে ড্রাগস সহ আটক করে মন্দিরের কর্মী ও ভক্তরা। এদিন মন্দিরের এক কর্মী জানায় এই যুবককে বেশ কয়েকদিন যাবত তারা লক্ষ্য করে আসছে। তার চলন বলনে সন্দেহ হওয়ায় এদিন তাকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে এদিন উদ্ধার করা হয় ড্রাগস ভর্তি কৌটা। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানালেন মন্দিরের মহারাজ।এই ঘটনায় মন্দিরের মধ্যে আসা পুন্যার্থিদের মধ্যেও চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। সচেতন মহল মনে করছে ড্রাগস কারবারিরা মন্দিরকেও রেয়াত করছে না। নেশার কারবারের জাল বিস্তারের জন্য নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হচ্ছে মন্দির প্রাঙ্গণকেও। যদিও এর বিরুদ্ধে সতর্ক রয়েছে সচেতন নাগরিক থেকে শুরু করে মন্দিরের কর্মী ভক্তবৃন্দ ও পুন্যার্থিরাও। শুক্রবার ড্রাগস সহ এই বহিরাগত যুবককে আটক করার মধ্য দিয়ে এই দিকটি প্রমানিত হল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। তবে এই ঘটনা নিঃসন্দেহে চোখ খুলে দিল রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার অন্যান্য বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানেরও।