যুব সমাজকে নেশার নাগাল থেকে দূরে রাখার চূড়ান্ত মাধ্যম হচ্ছে সিএম খেলার মাঠ। যুবসমাজকে খেলাধুলায় আরও সম্পৃক্ত করতে পারলে মাদকমুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তোলা সহজ হবে। সোনামুরা স্পোর্টিং অ্যাসোসিয়েশন মাঠে সোনামুরা প্রিমিয়ার লিগ কমিটি আয়োজিত T-20 SPL টেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব প্রতিটি জেলায় স্টেডিয়াম নির্মাণ এবং ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নত করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শান্তির প্রতীক হিসেবে সাদা ঘুঘু ওড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর দুই দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার অবৈধ ওষুধের ব্যবহার ও এইচআইভি সংক্রমণ রোধে বদ্ধপরিকর। রাজ্য সরকার মাদকের বিরুদ্ধে আপসহীন মনোভাব নিয়ে কাজ করছে। ত্রিপুরায় মাদক চোরাচালান ও অবৈধ মাদক ব্যবহারের কোনো স্থান নেই। বিষয়টিকে কোনোভাবেই উৎসাহিত করা হবে না। মাদকাসক্তির কারণে একদিকে যুব সমাজের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যায়, অন্যদিকে মাদক সেবনের বিভিন্ন উপায়ে এইচআইভি ছড়ায়। তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের দৃঢ় সংকল্পের ফলে প্রতিদিনই সাফল্য লক্ষ করা যায়। সরকার রাজ্য জুড়ে ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নত ও প্রসারিত করার জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে। এ জন্য প্রতিটি জেলায় ফুটবল স্টেডিয়ামসহ বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মাদকমুক্ত ত্রিপুরা গড়তে নারীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে, যোগ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, শহর থেকে রাজ্যের প্রান্তিক এলাকা সব জায়গায় উন্নয়নের প্রতিফলন ঘটছে। মহাসড়কের পাশাপাশি প্রতিটি গ্রামকে পেভার ব্লক সড়কসহ অন্যান্য সড়কের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। একসময় অবহেলিত উত্তর-পূর্ব, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আন্তরিকতায় উন্নয়নের নতুন দিশা খুঁজে পেয়েছে। বর্তমান রাজ্য সরকার অতীতে বেড়ে ওঠা মাদক ব্যবসা রোধে কঠোর পরিশ্রম করছে। ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মানিক সাহা বলেন, সোনামুড়ার খেলোয়াড়রা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিভাবান খেলোয়াড়রাও জাতীয় অঙ্গনে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছেন। নির্মাণাধীন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম রাজ্যের ক্রীড়া উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ছিলেন বিধায়ক সুভাষ চন্দ্র দাস, এমডিসি পদ্ম লোচন ত্রিপুরা, মেলাঘর পৌরসভার চেয়ারপার্সন অনামিকা ঘোষ, সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন শারদা চক্রবর্তী এবং সিপাহীজলা ডিএম বিশ্বশ্রী বি.