Monday, December 30, 2024
বাড়িখবররাজ্যনয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানে ‘ওয়ান আর্থ-ওয়ান হেলথ' শীর্ষক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী

নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানে ‘ওয়ান আর্থ-ওয়ান হেলথ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সাথে বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য রাজ্যে একটি আন্তর্জাতিক মানের আয়ুর্বেদ ও যোগা বিদ্যালয় গড়ে তোলার উপর মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা গুরুত্ব আরোপ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সারুমে মৈত্রী সেতু দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলে ত্রিপুরা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার গেটওয়েতে পরিণত হবে। এতে রাজ্যে বাণিজ্যিক সুযোগ সৃষ্টি হবে। ত্রিপুরার পাহাড় উপত্যকা ঔষধি গাছ গাছালিতে ভরপুর। এই সম্পদকে কাজে লাগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরায় একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরির ইউনিটও স্থাপনের উপরও গুরুত্ব আরোপ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আজ নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানে ‘ওয়ান আর্থ-ওয়ান হেলথ অ্যাডভান্টেজ হেলথ কেয়ার ইন্ডিয়া ২০২৩’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে এই অভিমত ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের নীতিভাবনা ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর অনুসরণে আমরা সবসময়ই সমগ্র বিশ্বের মঙ্গল কামনায় কাজ করছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই ধারায় বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছেন ‘ওয়ান আর্থ-ওয়ান হেলথ’ অর্থাৎ প্রাণীজগৎ সহ সমস্ত জীবনের সুস্বাস্থ্য কামনায় কাজ করার নীতি। এই নীতি রোগ প্রতিরোধ, ব্যয় সংকোচন, খাদ্য নিরাপত্তায় উন্নতিলাভে ও প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করবে। দু’দিনের এই অনুষ্ঠানের আজ উদ্বোধন হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এবং বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. মনসুখ মান্ডবিয়া, সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং, নীতি আয়োগের সদস্য ড. ভি কে পাল, অ্যাপোলো হাসপাতাল গ্রুপের জয়েন্ট ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ড. সংগীতা রেড্ডি এবং ফিকির জেনারেল সেক্রেটারি শৈলেশ পাঠক। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, ত্রিপুরা স্বাস্থ্য পরিষেবায় এক পরিবর্তনশীল ও প্রগতিশীল নীতি নিয়ে কাজ করছে। প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশ থেকে বহু রোগী ত্রিপুরায় আসেন চিকিৎসা করতে। যদি রাজ্যে বিশ্বমানের চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে উঠে এতে বাংলাদেশের মানুষও উপকৃত হবেন। তারা কম খরচে চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এক্ষেত্রে আয়ুষের সাথে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির সমন্বয় সাধনের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এই পরিষেবার বেশ চাহিদা আছে বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছে। তাই ত্রি 1/2 একটি বর্ডার মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলা যেতে পারে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

seventeen − eight =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য