Saturday, July 27, 2024
বাড়িখবররাজ্যলেম্বুছড়ায় জনজাতি গবেষণা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ চলছে - মন্ত্রী...

লেম্বুছড়ায় জনজাতি গবেষণা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ চলছে – মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা

জনজাতি গবেষণা এবং সংস্কৃতি কেন্দ্রের মাধ্যমে রাজ্যের জনজাতিদের সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মোহনপুর মহকুমার লেম্বুছড়ায় প্রায় ১০ একর জমিতে নবরূপে জনজাতি গবেষণা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ চলছে। সেখানে মিউজিয়াম, লাইব্রেরি, অডিটোরিয়াম ও রাজ্যের ১৯টি জনজাতির লাইভ হাট তৈরি করা হবে। আজ সুপারিবাগানস্থিত ত্রিপুরা স্টেট একাডেমি ট্রাইবেল কালচার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জনজাতি গবেষণা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র, জনজাতি কল্যাণ দপ্তর, অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান অধিদপ্তর ইত্যাদি উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অধিকর্তা আনন্দহরি জমাতিয়া, যুগ্ম অধিকর্তা রিংকু রিয়াং ও ভি দার্লং প্রমুখ। সাংবাদিক সম্মেলনে জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা আরও জানান, ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের অর্থায়নে ত্রিপুরার জনজাতি সম্প্রদায়ের আর্থ সামাজিক মান উন্নয়নে কৃষি, বাগিচা, পশুপালন, মৎস্যচাষ ও রাবার ক্লাস্টার গঠনের মাধ্যমে এক দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ১২টি অ্যাসপিরেশনাল ব্লকে শিক্ষা, যোগাযোগ ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। এজন্য ত্রিপুরা রুরাল ইকোনমিক গ্রোথ এন্ড সাস্টেইনেবল সার্ভিস ডেলিভারি প্রোজেক্ট (টিআরইএসপি) নামে একটি প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে। এরফলে প্রায় ৭৫ হাজার পরিবার উপকৃত হবেন। তিনি আরও জানান, বনাধিকার আইন বাস্তবায়নের ফলে এখন পর্যন্ত রাজ্যে ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৯২টি পরিবারকে জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে। জমির পাট্টা প্রাপক ৩২ হাজার ৭২২টি পরিবারকে সরকারি গৃহ প্রদান করা হয়েছে। রাজ্যের জনজাতিদের চিকিৎসার জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরে জনজাতি কল্যাণ দপ্তর থেকে ৪৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী রাবার মিশনে ১২ হাজার ৫১৩ জন সুবিধাভোগীর ১০ হাজার ৭৭২ হেক্টর জমিতে রাবার চাষ করা হয়েছে। রাজ্যে ৩২টি বনধন বিকাশ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ২১টি একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জনজাতি হোস্টেলগুলিতে পরিষেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম চালু, সেনিটারি প্যাড ভেন্ডিং মেশিন, ইন্টারনেট সংযোগ সহ কম্পিউটার, সোলার ল্যাম্প দেওয়া হয়েছে। সাপ্লিমেন্টারি এডুকেশন ফর এলিমেন্টারি ক্লাসেস – ২০২২ নামের একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৯৯টি কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে ৯,৫৬৪ জন ছাত্রছাত্রীকে কোচিং দেওয়া হয়েছে। গত পাঁচ বছরে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ২৭,৬২৬ জন জনজাতি ছাত্রছাত্রীকে বোর্ডিং হাউজ স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১,২০,৭৫৬ জন ছাত্রছাত্রীকে প্রি-মেট্রিক (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম) স্কলারশিপ, ৪৯,৫২৭ জন ছাত্রছাত্রীকে প্রি-মেট্রিক স্কলারশিপ (নবম থেকে দশম) এবং ১,০৮,৪৩৯ জন ছাত্রছাত্রীকে পোস্ট মেট্রিক স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। ৩২১ জন জনজাতি ছাত্রছাত্রীকে এককালীন ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেওয়া হয়েছে ১,২৩,৩৮৭ জন ছাত্রছাত্রীকে। এছাড়াও নার্সিং সহ বি এড, ডি এল এড এ মোট ৬০৬ জন জনজাতি ছাত্রছাত্রীকে রাজ্যে ও বহির্রাজ্যে পড়াশুনার জন্য সহায়তা করেছে। এছাড়াও সাংবাদিক সম্মেলনে জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা বলেন, জনজাতি গবেষণা ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের মাধ্যমে ২০৮টি বই প্রকাশ করা হয়েছে। বইগুলি ২৫ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি করা হয়। তাছাড়াও ইচ্ছুক পাঠকরা ওয়েবসাইটে গিয়েও এই বইগুলি পড়তে পারেন। তিনি আরও বলেন, অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান অধিদপ্তর (ডিইএস) রাজ্যে জনগণনা ও অর্থসুমারী নোডাল ডিপার্টমেন্ট হিসেবে কাজ করে। বর্তমানে রাজ্যের ৪টি জেলায় এর অফিস রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতেও অফিস খোলার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়াও তিনি দপ্তরগুলির অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজের বিস্তৃত আলোচনা করেন।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

5 × 1 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য