Saturday, November 23, 2024
বাড়িখবররাজ্যরাজনীতির সূচনা হয়েছিল কংগ্রেসে দলের হাত ধরেই, বাড়ি ফেরার আনন্দটাই আলাদা- সুদীপ...

রাজনীতির সূচনা হয়েছিল কংগ্রেসে দলের হাত ধরেই, বাড়ি ফেরার আনন্দটাই আলাদা- সুদীপ রায় বর্মণ

ত্রিপুরায় ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে ধাক্কা খেল শাসক বিজেপি। বিজেপি ও বিধায়ক পদ ছেড়ে ত্রিপুরার দুই নেতা সুদীপ রায়বর্মন ও আশিস কুমার সাহা আজ যোগ দিলেন কংগ্রেসে। আজ সকালে তাঁরা দিল্লিতে রাহুল গাঁধীর বাসভবনে যান। সেখানে চলে আসেন প্রিয়াঙ্কা গাঁধীও। চারজনের মধ্যে বৈঠক হয়। এরপর দুই নেতা কংগ্রেসে অনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন। সুদীপ রায় বর্মণ আগেই জানিয়েছিলেন বিজেপির প্রতীকে আর লড়বেন না। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে একাধিকবার তোপ দেগেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণের পর থেকেই বেসুরো ছিলেন সুদীপ রায় বর্মন। এদিন কংগ্রেসে যোগ দিয়ে সুদীপ রায় বর্মন বলেন, “রাজনীতির সূচনা হয়েছিল এই দলের হাত ধরেই। বাড়ি ফেরার আনন্দটাই আলাদা। এটা ঘর ওয়াপসি। আমি পাপ করেছি। প্রায়শ্চিত্ত আমাকেই করতে হবে। কংগ্রেস সরকার গড়ে তুলবে। ত্রিপুরায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। লুটপাট চলছে। সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। মারধর করা হচ্ছে। তাছাড়া সুদীপ রায় বর্মনের মতে, ‘‘আমরা নিজেদের প্রকৃত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকেই চিনতে পারিনি।’’ সুদীপ জানিয়েছেন, ‘‘ইদানিংকালে যে ঘটনাগুলি রাজ্যবাসী চাক্ষুস করছেন, হামলা, হুজ্জতি, রাতের অন্ধকারে বাড়ি ঘর ভাঙা, প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো- এই ঘটনাগুলির আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। ভারতীয় জনতা পার্টির মূল মন্ত্র সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস। ভারতীয় জনতা পার্টি যে চিন্তাধারায় আবদ্ধ, তাতে দেশের স্বার্থ সবার আগে, তার পর দল, ব্যক্তি। এই দুই মূল মন্ত্রের কোনওটাই রাজ্যে বাস্তবায়িত হচ্ছে না ৷ উন্নয়ন, বিশ্বাসের উপরে ভোট হলে এসব হামলা, হুজ্জতির প্রয়োজন ছিল না।’’ যদিও এই পরিস্থিতির জন্য দলীয় নেতৃত্বকে সরাসরি দায়ী করেননি সুদীপ রায় বর্মন পাশাপাশি সুদীপের দাবি, ‘‘বিজেপি নেতৃত্ব তো কাউকে হামলা করা, গুলি চালানো, রক্তপাত ঘটানোর নির্দেশ দেয়নি। আমাদের মতো অগণিত বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের একটাই চিন্তা, এসব করে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রীর দুর্নাম করেছে। একটা স্থানীয় স্তরের নির্বাচনে যদি উন্নয়নকে সামনে রেখে ভোট হত, খুব খুশি হতাম। বরং প্যারাশ্যুট থেকে এসে নেমে পড়া মানসিক বিকৃতির শিকার একজন নেতার নির্দেশে এসব হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। যারা সন্ত্রাস করে বেড়াচ্ছে তারা বিজেপি-র কর্মী নন। এদের একটা বড় অংশ বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর দলে এসেছে। আসলে এরা কট্টর বামপন্থী ঘরানার।”

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

7 + nineteen =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য