পূবে সক্রিয় হও (অ্যাক্ট ইস্ট) নীতির ফলে রাজ্যে আগামীদিনে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপুল পরিবর্তন আসছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে। পূবে সক্রিয় হও নীতির ফলে রাজ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। এরফলে রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত হবে। আজ জিরানীয়ায় ইনস্টিটিউট অব ড্রাইভিং ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ (আইডিটিআর)-র উদ্বোধন করে পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন। উল্লেখ্য, জিরানীয়ায় এই ইনস্টিটিউট গড়ে তুলতে ব্যয় হয়েছে ১৪ কোটি টাকা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবহণ দপ্তরের সচিব উত্তম চাকমা। তাছাড়াও বক্তব্য রাখেন জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ ও টাটা মোটর্সের পক্ষে নীরজ শর্মা। উপস্থিত ছিলেন পরিবহণ কমিশনার সুব্রত চৌধুরী, সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক, টাটা মোটর্সের শ্যামসুন্দর মুসা। অনুষ্ঠানে পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আরও বলেন, রাজ্যে পরিবহণ দপ্তর সুনামের সাথে কাজ করছে। পরিবহণ দপ্তরের পরিধি ও কর্মকান্ড অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দপ্তর রাজ্য সরকারকে সর্বাধিক রাজস্ব প্রদান করছে। তিনি বলেন, আগরতলা বিমানবন্দর এখন উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যতম ব্যস্ততম একটি বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দর থেকে আগামীদিনে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবাও পাওয়া যাবে। সড়ক, আকাশ ও রেলপথে রাজ্যে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। আগরতলা-আখাউড়া নতুন রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেলে ত্রিপুরা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার হয়ে উঠবে। এরফলে বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। রাজ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়বে। অনুষ্ঠানে পরিবহণমন্ত্রী জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় এ ধরনের ইনস্টিটিউট চালু করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। এই ইনস্টিটিউটের উদ্দেশ্য হচ্ছে যানবাহনের চালকদের উন্নত ড্রাইভিংয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া। তাছাড়াও যানবাহন চালকদের ড্রাইভিংয়ের নিয়মগুলিও এখানে শেখানো হবে। বহির্রাজ্যের কোনও পর্যটক রাজ্যে এলে তাদের সাথে যানবাহন চালকদেরই প্রথম পরিচয় হয়। রাজ্যের পর্যটনের বিকাশে যানবাহন চালকদের একটা ভূমিকা রয়েছে। তাই যানবাহন চালকদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে এই ইনস্টিটিউট একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। উদ্বোধনের পর পরিবহণমন্ত্রী ইনস্টিটিউটের নতুন ভবনের ফলক উন্মোচন করেন এবং ভবনটি পরিদর্শন করেন।