এই ফল ছাড়া শিবপুজো সম্ভব নয়। তেমনই গরমে পেট ঠিক রাখতে গেলেও এই ফল ছাড়া গতি নেই।গরমকালে আম-জামের আলোচনা প্রচুর হয়। এই ফলের হয়তো তেমন একটা আলোচনা হয় না। কিন্তু কদরে কোনও কমতি নেই। এই ফল ছাড়া শিবপুজো সম্ভব নয়। তেমনই গরমে পেট ঠিক রাখতে গেলেও এই ফল ছাড়া গতি নেই। বেল ফল আদতে পুষ্টিগুণের ভান্ডার।
ভরপুর অ্য়ান্টি অক্সিড্যান্ট রয়েছে এতে। নানা ভিটামিনেরও খনি। একাধিক খনিজ পাওয়া যায় বেলে। মিলবে পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেটও। ভারতের প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বেলের ওষধিগুণের কথা বারবার বলা হয়েছে। একাধিক রোগের চিকিৎসাতেও বেলের উপাদান প্রয়োগের কথা রয়েছে। ঠিক কী কী উপকার মেলে?
হজমপ্রক্রিয়া ঠিক রাখে
বেল পাচনতন্ত্র ঠিক রাখতে সাহায্য করে। হজম ভাল হয়। পেটের সমস্যা মেটে।
কোষ্ঠকাঠিন্যে উপকারী
পাচনতন্ত্র ঠিক রাখার ফলে কোষ্ঠ্যকাঠিন্যও কমে যায়। টানা বেশ কিছুদিন বেলের শরবত খেলে পরিপাকজনিত সমস্যা মেটায় কোষ্ঠ্যকাঠিন্যও দূর হয়।
আলসারে সুরাহা
আলসারের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের ওষুধের সঙ্গে বেলও খাওয়া যায়। বেলের শাঁস থাকা ফাইবার আলসারে সুরাহা দেয়।
ডায়েরিয়া রুখতে
বহুপুরনো ডায়েরিয়া সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে বেল কাজে লাগতে পারে। তবে শরবত নয়, কাঁচা বেল। কাঁচা বেল কেটে শুকিয়ে নিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে। পরে গরম জলে ওই গুঁড়ো গুলে খাওয়া যায়।
ভাল থাকে কিডনি
বেলের উপাদান কিডনি সুস্থ রাখে। কিডনির কার্যকারিতা ঠিকমতো চালাতে সাহায্য করে বেলের উপাদান।
শরীর ঠান্ডা রাখে
গরমকালে বেলের শরবত শরীর হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। শরীর জলের প্রয়োজন মেটায়, শর্করারও জোগান দেয়।
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
বেলের প্রচুর পরিমাণে অ্য়ান্টি অক্সিড্যান্ট রয়েছে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিভিন্ন প্রদাহজনিত রোগও ঠেকায়। ফলে নিয়মিত বেলের শরবত খেলে হঠাৎ করে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিও কম থাকে।