ইউক্রেনের যে পরিস্থিতি তাতে তাঁদের পড়াশোনার ভবিষ্যৎ কার্যত বিশ বাঁও জলে পড়ে গিয়েছে। তাঁদের পরবর্তী পড়াশোনা কীভাবে হবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আজ দশম দিন। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে অপারেশন গঙ্গা-র মাধ্যমে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধারের কাজ চলছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার পড়ুয়া দেশে ফিরে এসেছেন। কিন্তু এখনও আরও অনেক পড়ুয়াই ইউক্রেনের সুমি ও খারকিভে আটকে পড়ে রয়েছেন। এরইমধ্যে ওই পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে এবং এ ব্যাপারে সরকারের কাছে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি উঠেছে।
কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কবে খুলবে, তা এখন অনিশ্চয়তার গর্ভে। এমনই পরিস্থিতিতে ভারতে মেডিক্যাল পেশা সংক্রান্ত বৃহত্তম সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে আইএমএ-র পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে, অনিশ্চয়তার পরিপ্রেভিতে সরকার নিয়ম শিথিল করে ইউক্রেন থেকে ফেরা দেশের মেডিক্যাল পড়ুয়াদের মেডিক্যাল কলেজগুলি ভর্তির ব্যবস্থা করা হোক। এক্ষেত্রে ফাইনাল ইয়ারের পড়ুয়াদের অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। 1
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) মনে করছে, বিশেষ একটি পরীক্ষার মাধ্যমে ওই পড়ুয়াদের ভারতের মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির বন্দোবস্ত করা যেতে পারে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত মিলেছে যে, ইউক্রেন থেকে ফেরত ওই পড়ুয়াদের মেডিক্যাল পড়াোনা সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে কিছু উপায় বের করা হতে পারে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউক্রেন থেকে ফিরে আসা পড়ুয়াদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় মেডিক্যাল কলেজগুলিতে আসন বাড়ানোর কথা বলেছিলেন।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন থেকে ফিরে আসা মেডিক্যাল পড়ুয়াদের সমস্যার বিষয়টি সংসদেও উঠতে পারে। আগামী ১৪ মার্চ শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। ওড়িশার কন্ধমালের বিজেডি সাংসদ ড. অচ্যূত সামন্ত বলেছেন, মোদি সরকারের উচিত জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের নিয়মে বদল ঘটানো।
আশা করা হচ্ছে, সরকার এ ব্যাপারে কোনও পরিকল্পনা তৈরির কাজ শুরু করতে পারে। সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নিলে আগামী জুলাই থেকে শুরু শিক্ষাবর্ষে ওই পড়ুয়ারা ভারতের কলেজেই ভর্তি হতে পারেন।