১০৮টি পুরসভার মধ্যে তৃণমূল একাই ১০২টিতে জয়ী। তাহেরপুর পুরসভায় জয়ী সিপিএম, দার্জিলিঙে জয়ী ‘হামরো’। ৪টি পুরসভায় ত্রিশঙ্কু ফল, ৩০টি পুরসভা বিরোধীশূন্য। এই সাফল্যের জন্য ট্যুইট করে মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতার বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি রাজ্যের শান্তি, উন্নতি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘মা-মাটি মানুষকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আরও একটা বিপুল জয়ের জন্য সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই। পুরভোটে জয়ী প্রার্থীদের সবাইকে অভিনন্দন। জয় আমাদের দায়িত্ববোধ ও দায়বদ্ধতা বাড়াক। জয়ী হয়েও আমরা যেন বিনয়ী থাকতে পারি। আসুন সবাই মিলে একসঙ্গে রাজ্যের শান্তি, উন্নতি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করি।’
এরপর তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘বারাণসী যাওয়ার আগে আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করেছে বাংলা। মানুষের আশীর্বাদ নিয়েই উত্তরপ্রদেশে যাচ্ছি। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, বীরভূম, বর্ধমানে কিছু হয়নি। কোথাও কিছু ঘটেনি, মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট দিয়েছেন। ১১ হাজার ২৫টি বুথের মধ্যে মাত্র ৭টি বুথে অভিযোগ উঠেছে। দার্জিলিঙে আমরাও খাতা খুলেছি, ৫টি দলের সঙ্গেই আমাদের সুসম্পর্ক। আগামী দিনে জিটিএ নির্বাচন হবে। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কেন্দ্রকে বলেছি। দার্জিলিঙে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বলেছি, কেন্দ্রের জন্য আটকে আছে। জয়নগরে তৃণমূল কখনও পুরসভার ভোটে জেতেনি। এই বিপুল ভোটে জয় আমাদের মানুষের কাজ করতে এগিয়ে দেবে।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেছেন, ‘যত জিতব, ততই যেন আমরা নম্র হই। মানুষের ছোটখাট কাজ যেন এলাকাতেই হয়ে যায়। মিছিল-মিটিং-বিক্ষোভ সারাজীবন করে পঙ্গু করে দিয়েছে বিরোধীরা। ৩টি পার্টি একসঙ্গে নাকি বলেছে, দেউচা করতে দেব না। বলছে, দেউচা, তাজপুর হলে আর ২০ বছর ক্ষমতায় আসতে পারব না।’
তৃণমূল কংগ্রেস নির্দলদের দলে ফেরাবে কি না, এই প্রশ্নের জবাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘নির্দল নিয়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে। মাত্র কয়েকজন আছে। রাজ্য কমিটি ঠিক করবে।’