জানা যায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গত মে মাসে কর্মচারী ও অফিসার্স সংগঠনগুলিকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করায় জয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট ফোরাম এই আন্দোলন কর্মসূচী গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে। আজ থেকে শুরু হয়েছে ব্যাংকে নিয়মানুসারে কাজ ও ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিকেল ৫টায় বিক্ষোভ প্রদর্শন। তারপর প্রয়োজনে একদিন ও পরে লাগাতার ধর্মঘটে যেতে পারে যৌথ মঞ্চ।
মূল দাবীগুলির মধ্যে স্পন্সর ব্যাংক থেকে কোনো অফিসারকে বেশি বেতন ভাতা দিয়ে আনা যাবে না। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ স্পন্সর ব্যাংক পাঞ্জাব নেশ্যানাল ব্যাংক থেকে মোট দশ জন স্কেল ফোর অফিসার আনতে চাইছে। বর্তমানে পাঁচ জনকে আনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তিনজন ইতিমধ্যেই এসে গেছেন। যাদের বেতন ভাতা অতিরিক্ত ব্যাংককে বহন করতে হবে। যদিও ব্যাংকে এই পদে যোগ্য অফিসার থাকা স্বত্বেও কর্তৃপক্ষ ওদের বঞ্চিত করে স্পন্সর ব্যাংক থেকে অফিসার এনে সম্পূর্ন কর্তৃত্ব নিয়ন্ত্রণে রাখার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের যোগ্য অফিসারদের প্রধান কার্যালয়ের বাইরে পোস্টিং দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যে সকল অফিসার ও কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক আজ এক শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে আছে তাদের সম্পূর্ন বঞ্চিত করে স্পন্সর ব্যাংক থেকে অফিসার আনার প্রয়াসের বিরুদ্ধে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের সকল স্তরের কর্মীরা গর্জে উঠেছেন। কর্তৃপক্ষের এই তুঘলকি মনোভাবে ত্রিপুরার আর্থসামাজিক উন্নয়নও বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে বলে তথ্যাবিজ্ঞ মহলের ধারণা।



