কৃষকরা হলেন দেশের অন্নদাতা । তারা দেশের মেরুদন্ড । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যের বর্তমান সরকার দেশের কৃষকদের আর্থ সামাজিক মান উন্নয়নে বদ্ধপরিকর । মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ( ডা . ) মানিক সাহা আজ নাগিছড়া উদ্যান গবেষণা কেন্দ্রে রাজ্যের প্রথম ইন্টিগ্রেটেড প্যাক হাউসের উদ্বোধন করে একথা বলেন । অনুষ্ঠানে প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ( ডা . ) মানিক সাহা , কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী কৈলাস চৌধুরী এবং কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় নতুন নির্মিত প্যাক হাউসের ফলক উন্মোচন করেন এবং প্যাক হাউসটি পরিদর্শন করেন । অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন , বিগত দিনে রাজ্যের কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের সঠিক মর্যাদা দেওয়া হতনা । বর্তমানে কৃষকদের ফসলের সঠিক দাম এবং ফসলের রক্ষণাবেক্ষণের উদ্দেশ্যে এরকম প্যাক হাউস নির্মাণ করা হয়েছে । এরকম ইন্টিগ্রেটেড প্যাক হাউসে কৃষকের ফসল সহজভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যাবে । এতে ফসলের বাজারজাতকরণেও অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে । তিনি বলেন , আগামী দিনে রাজ্যে এরকম আরও প্যাক হাউস নির্মাণ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে । তিনি বলেন , রাজ্যে উদ্যানজাত ফসলের উৎপাদন বছরে ১৪.৫০ মেট্রিকটন । বর্তমানে রাজ্যে বিভিন্ন ধরনের মশলা উৎপাদন করা হচ্ছে । রাজ্যের বাইরেও যার বিশেষভাবে কদর রয়েছে । তিনি বলেন , রাজ্যের ক্যুইন আনারস , কাঁঠাল , সুগন্ধি লেবু দেশ বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে । রাজ্য সরকার রাজ্যের ফসলকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকস্তরে প্রসারের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে । রাজ্যে কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করা হচ্ছে । এতে কৃষকগণ লাভবান হচ্ছেন । মুখ্যমন্ত্রী বলেন , রাজ্যের যুবকরা কৃষিকাজকে ভিত্তি করে আত্মনির্ভরতার দিকে মনোযোগী হচ্ছে । অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী কৈলাস চৌধুরী বলেন , রাজ্যের কৃষকরা তাদের ফসল রক্ষণাবেক্ষণ এবং বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছিল , এই প্যাক হাউস নির্মাণের মধ্য দিয়ে অনেকটা লাঘব হবে । আগামীতে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় এরকম প্যাক হাউস যাতে নির্মাণ করা যায় সেই উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করবে । তিনি বলেন , প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সরকার গঠন হওয়ার পর দেশের কৃষকরা তাদের ফসলের সঠিক দাম পাচ্ছেন । কৃষকগণ আত্মনির্ভর হতে সক্ষম হচ্ছেন । বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের কৃষি ক্ষেত্রের জন্য ছয়গুণ বাজেট বাড়িয়েছে । তিনি বলেন , এখন কিষাণ সম্মান নিধির মাধ্যমে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি অর্থ প্রদান করা হচ্ছে । কৃষিক্ষেত্রে এবং কৃষকদের উন্নয়নে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ করা হচ্ছে । কৃষক কল্যাণে নতুন নতুন পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে । কৃষি ক্ষেত্রে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে । তিনি কৃষক কল্যাণে নেওয়া বিভিন্ন কল্যাণমুখী প্রকল্পগুলির সুবিধা গ্রহণ করার জন্য কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানান । অনুষ্ঠানে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন , ২০২২ সালের মধ্যে দেশের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । কৃষকদের সার্বিক উন্নতির কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে । কৃষকরা যাতে তাদের উৎপাদিত ফসলের সঠিক দাম পেতে পারে সেইজন্য নতুন বাজার তৈরি করা হচ্ছে । রাজ্যের আনারস , কাঁঠাল আজ দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে রপ্তানী হচ্ছে । প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার দেশের কৃষকের সঠিক মর্যাদা দিচ্ছেন । অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায় । ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন উদ্যান দপ্তরের উপঅধিকর্তা ড . রাজীব ঘোষ । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ফনিভূষণ জমাতিয়া প্রমুখ ।



