বেশ কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর আবারো বন্যহাতির দল সময়ে অসময়ে ঘনবসতি এলাকাগুলিতে প্রবেশ করছে। এতে ঘন বসতি এলাকার মানুষ জনের মধ্যে ফের বন্যহাতির আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বনদপ্তর আছে, আছে এ.ডি.এস টিমের কর্মীরাও। কিন্তু বনদপ্তরের কর্মীরা একপ্রকার কুম্ভনিদ্রায়। ঘটনা, তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তরের অধিক চাকমাঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকা সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায়। জানা যায়, বেশ কিছুদিন তেলিয়ামুড়া বেশ কয়েকটি বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে যেসকল ঘনবসতি এলাকা গুলি রয়েছে এই এলাকাগুলিতে হাতির আনাগোনা না থাকলেও, আবারও বেশ কিছুদিন ধরে রাতের অন্ধকারে হোক কিংবা দিনের আলোতে বন্য হাতি আচমকাই ঘনবসতি এলাকায় প্রবেশ করছে। ফলে ঐ সকল এলাকায় বসবাসকারী মানুষজন দের মধ্যে একপ্রকার আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, তেলিয়ামুড়া মহাকুমা বনদপ্তর -এর অধীন চাকমাঘাট সহ আরো বেশ কয়েকটি বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ঘনবসতি এলাকাগুলিতে দীর্ঘ বছর ধরে বন্য হাতির আক্রমণ হয়ে আসছিল। কিন্তু কিছু মাস পূর্বে তেলিয়ামুড়া মহাকুমা বনদপ্তর -এর উদ্যোগে বিপুল অঙ্কের সরকারি অর্থের ব্যয় করে ‘অ্যাকশন প্ল্যান অপারেশনের’ মাধ্যমে বনের হাতি গুলিকে বনে পুনরায় পাঠিয়ে দেওয়ার এক প্রয়াস করেছিল। যদিও বনদপ্তর -এর এই প্রয়াসে সামান্য কিছুদিন বন্যহাতি ঘন বসতি এলাকা থেকে দূরে থাকলেও, ইদানিংকালে আবারো হাতির দল অাচমকাই প্রবেশ করছে ঘন বসতি এলাকায়। আচমকাই আবারো এলাকায় হাতির আনাগোনায় এলাকার মানুষজনদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। রাতের অন্ধকারে হাতির আতঙ্কে এলাকার মানুষজনকে ঘর থেকে বেরিয়ে পাহারা দিতে হচ্ছে। যদিও হাতি তাড়ানোর কাজে নিয়োজিত এ.ডি.এস টিমের কর্মীরা হাতির দলকে তৎক্ষণাৎ ঘন বসতি এলাকা থেকে দূরে জঙ্গলে পাঠিয়ে দিচ্ছে। যদিও হাতির সমস্যার স্থায়ী সমাধান আজও করতে পারেনি তেলিয়ামুড়া মহাকুমা বনদপ্তর।।



