তেলিয়ামুড়া মহকুমা প্রশাসন এবং খাদ্য, জনসংভরন ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের উদ্যোগে শনিবার তেলিয়ামুড়া চিত্রাঙ্গদা কলা কেন্দ্র তথা তেলিয়ামুড়া টাউন হলে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা প্রকল্পের অন্তর্গত বিনামূল্যে খাদ্য শস্য বিতরণ এবং বিশ্ব ভোক্তা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনাচক্র অনুষ্ঠিত হয়।এদিনের এই অনুষ্ঠান প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শুভ সূচনা করেন তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা তথা রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, তাছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণপুর প্রমোদনগর কেন্দ্রের বিধায়ক পিনাকি দাস চৌধুরী, তেলিয়ামুড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন যমুনা দাস, কল্যাণপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন সৌমেন গোপ, তেলিয়ামুড়ার পৌরপিতা রূপক সরকার, তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসক মোহাম্মদ সাজ্জাদ পি. সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা।এদিনের এই অনুষ্ঠানে মূলত ক্রেতাদের সচেতন করতে বিভিন্ন প্রয়াস করা হয়। তাছাড়া এদিনের এই অনুষ্ঠান থেকে একটি স্লোগান দেওয়া হয়– সচেতন ক্রেতাই সুরক্ষিত ক্রেতা। এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তেলিয়ামুড়া বিধায়িকা কল্যাণী রায় বিরোধীদলের তীব্র সমালোচনায় মুখর হন। তিনি বলেন,, বিরোধীরা বিধানসভায় দাড়িয়ে শুধু লম্বা চওড়া ভাষণ প্রদান করেন রাজ্যে নাকি খাদ্য সঙ্কট চলছে, আসলে রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে বিরোধীরা, তাই ভুল-ভাল প্রচার করছে বিরোধীরা। তাছাড়া তিনি বলেন,, যারা ২৫-৩০ বছর শোষণ করেছেন আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যারা বলছে খাদ্য সঙ্কট তাদের তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলছেন, এমন একটা জায়গা দেখান যেখানে খাদ্য সঙ্কট চলছে। তা ছাড়াও তিনি এদিনের এই অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে,, গ্রাহকদের সজাগ হয়ে দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন,, যে দ্রব্যসামগ্রী গুলো আমরা বাজার থেকে ক্রয় করবো সেগুলির মেয়াদ রয়েছে কিনা বা সেই সামগ্রী গুলি মেয়াদোত্তীর্ণ কি না সেগুলো দেখে যাতে আমরা দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় করি।



