পঞ্চায়েতীরাজ ব্যবস্থার সুফল সম্পর্কে আমরা সবাই অবহিত । দেশের গণতন্ত্রের ভিতকে শক্তিশালী করতে পঞ্চায়েতীরাজ ব্যবস্থার বিকল্প নেই । ডুকলি ব্লকের বিআরসি হলে জাতীয় পঞ্চায়েতীরাজ দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে সমবায় মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল একথা বলেন । তিনি বলেন , রাজ্যের উন্নয়নকে আরও সুদৃঢ় করতে পঞ্চায়েতীরাজ ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের ব্যাপকভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে । সারা দেশের সাথে আমাদের রাজ্যেও ক্রমে পঞ্চায়েতীরাজ ব্যবস্থার সুফল পাওয়া যাচ্ছে । তার প্রমাণ এবছর জাতীয় পঞ্চায়েতীরাজ দিবস উপলক্ষে উন্নয়ন কাজের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার থেকে পাওয়া ৮ টি পুরস্কার । এই পুরস্কারের তালিকায় ডুকলি পঞ্চায়েত সমিতি এবং এই ব্লকের ঈশানচন্দ্রনগর পঞ্চায়েতও রয়েছে । তিনি বলেন , শুধু একটি গ্রাম পঞ্চায়েত নয় আমাদের সবকটি গ্রাম পঞ্চায়েতকেই নানা উন্নয়ন কাজ স্বচ্ছভাবে করতে হবে । যাতে সবগুলি গ্রামই একটি আধুনিক উন্নত গ্রাম হিসেবে গড়ে উঠতে পারে । শুধুমাত্র পুরস্কার পাব সেই আশাতেই কাজ করলে চলবে না । একটি আদর্শ গ্রাম পঞ্চায়েত গড়ে তুলতে হবে । মানুষের উন্নয়নে ও কল্যাণে পঞ্চায়েতীরাজ ব্যবস্থাকে আমরা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করবো । এই উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়েই কাজ করতে হবে । অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডুকলি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান অজয় দাস । তিনি বলেন , পঞ্চায়েত সমিতি ও ঈশানচন্দ্রনগর পঞ্চায়েতের পুরস্কারের অর্থ গ্রামের মানুষের আর্থাসামাজিক মানোন্নয়নে ব্যয় করা হবে । গত বছরও এই পঞ্চায়েত সমিতি উন্নয়ন কাজের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার পেয়েছে । ব্লকের সমস্ত পঞ্চায়েতগুলির উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হয়েছে । এবছরও তা করা হবে । অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডুকলি পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল চন্দ্র সরকার । সমবায় মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল অনুষ্ঠানে ডুকলি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান অজয় দাস ও ঈশানচন্দ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের হাতে পুরস্কার তুলে দেন । অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডুকলি ব্লকের বিডিও বিপুল দাস । ভাষণে তিনি পঞ্চায়েতীরাজ দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন । অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সদস্য সঞ্জীবন দাস , বিশিষ্ট সমাজসেবী সন্তোষ চৌধুরী ।



