ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ প্রয়াত বিশ্ববন্ধু সেন-এর মরদেহ আজ দুপুরের বিমানে রাজ্যে এসে পৌঁছায়। তাঁর মরদেহ এমবিবি বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে সেখানে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরি, ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল, বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার নমিত পাঠক, ত্রিপুরা বিধানসভার অতিরিক্ত সচিব বিপ্লব দাস প্রমুখ। এরপর প্রয়াত অধ্যক্ষের মরদেহ র্যালি করে ত্রিপুরা বিধানসভা প্রাঙ্গনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে প্রয়াত অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের মরদেহে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেডি নান্নু, মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা, বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ, অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিস্কু রায়, উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী কিশোর বর্মণ, তপশিলি জাতি কল্যাণমন্ত্রী সুধাংশু দাস, সমবায়মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা, ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল, ত্রিপুরা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিধায়ক জিতেন্দ্র চৌধুরী, টিটিএএডিসি’র চেয়ারম্যান জগদীশ দেববর্মা সহ ত্রিপুরা বিধানসভার অন্যান্য সদস্য-সদস্যাগণ এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার, আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রণব সরকার, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা মনোজ কুমার সাহা, দৈনিক সংবাদ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক সঞ্জয় পাল সহ ত্রিপুরা বিধানসভার বিভিন্ন স্তরের আধিকারিক ও কর্মচারীগণ।
শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠানের পর টিএসআর সপ্তম ব্যাটেলিয়ানের নায়ক সুবেদার জিতেন্দ্র দেববর্মার নেতৃত্বে টিএসআর জওয়ানগণ প্রয়াত অধ্যক্ষের প্রতি শোক সেলামী প্রদর্শণ করেন। এছাড়া দু’মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। উল্লেখ্য, গত ২৬ ডিসেম্বর ভোরে অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে পরলোক গমন করেন। শ্রদ্ধাঞ্জলী প্রদানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রীর প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, প্রয়াত অধ্যক্ষের প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শোক ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, প্রয়াত অধ্যক্ষ ছিলেন একাধারে কবি ও সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষ। যাত্রা ও নাটকের সঙ্গে ছিল তার গভীর যোগাযোগ। উনার প্রয়াণে রাজ্যবাসীর অপূরনীয় ক্ষতি হল। তিনি যেভাবে বিধানসভার কার্য পরিচালনা করতেন তা সত্যিই অনুকরণীয়। প্রয়াত অধ্যক্ষের চিন্তা ভাবনাকে পাথেয় করে আগামী দিনেও বিধানসভার কার্যাবলী এগিয়ে যাবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন।



