পড়াশুনার পাশাপাশি আধ্যাত্মিকতার সাথে নিজেকে যুক্ত রাখতে পারলে জীবনের চলার পথ শৃঙ্খলাপরায়ণ হয় ও সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে উঠে। স্মার্ট বা আধুনিকতা শুধু পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুকরণ বা নকল করা নয়। আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে যুক্ত থেকে ভারতীয় সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরেও স্মার্ট হওয়া যায়। আজ আমতলি বিবেকনগরস্থিত রামকৃষ্ণ মিশনে রোটারি ক্লাব অব আগরতলা এবং রামকৃষ্ণ মিশনের যৌথ উদ্যোগে ভ্রাম্যমান দন্ত চিকিৎসা ক্লিনিক ইউনিটের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী পতাকা নেড়ে ভ্রাম্যমান ডেন্টাল ক্লিনিক ইউনিটের যাত্রার সূচনা করেন। রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্বামী বিবেকানন্দের মর্মর মূর্তিতে মাল্যদান করে মুখ্যমন্ত্রী শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং মানবসেবামূলক কাজে রামকৃষ্ণ মিশনের অবদান অনস্বীকার্য। ভ্রাম্যমান এই দন্ত চিকিৎসা ইউনিটের মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন ধরনের দাঁতের চিকিৎসার সুযোগ পাবেন। রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা প্রসারে রামকৃষ্ণ মিশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দ প্রতিষ্ঠিত রামকৃষ্ণ মিশন গত ১২৮ বছর ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের সেবা করছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২২ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত রামকৃষ্ণ মিশন রাজ্যন্তরে ১৪টি, আঞ্চলিক স্তরে ৩টি, জাতীয় স্তরে ২৬টি এবং আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্যের জন্য ৪টি পুরস্কার পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালিত আই.টি.আই কেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্য সরকার সাহায্য করবে। তিনি ভ্রাম্যমান দন্ত চিকিৎসা পরিষেবার সাফল্য কামনা করেন। ভ্রাম্যমান এই ইউনিটটি গড়ে তুলতে ব্যয় হয়েছে ৬০ লক্ষ টাকা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা রূপায়ণ করছেন। রাজ্য সরকারও প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে সব অংশের মানুষের উন্নয়ন ঘটিয়ে নতুন ত্রিপুরা গড়ে তোলার কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, আগরতলা রোটারি ক্লাবের সভাপতি ডা. সঞ্জয় কুন্ডু, এই সংস্থার প্রাক্তন জেলা গভর্নর ডা. কুশানভ পাবি, প্রাক্তন সভাপতি ডা. অচিন্ত্য ভট্টাচার্য। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রামকৃষ্ণ মিশনের সচিব স্বামী শুভকরানন্দ মহারাজ। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জাস্টিস এস.সি. দাস। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা গভর্নমেন্ট ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শালু রায়, এ.জি.এম.সি.-র প্রিন্সিপাল ডা. অনুপ কুমার সাহা প্রমুখ। রামকৃষ্ণ মিশনের সাথে যুক্ত থেকে সমাজে বিশেষ অবদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ২ জনকে সংবর্ধনা প্রদান করেন।



