নজরুল কলাক্ষেত্রের অডিটোরিয়ামে আজ দু’দিনব্যাপী ত্রিপুরা রাজ্যভিত্তিক ২৯তম যুব উৎসবের উদ্বোধন করেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায়। উৎসবের উদ্বোধন করে তিনি বলেন, যুব উৎসব যুব সমাজের প্রতিভা বিকাশের একটি মঞ্চ। এই উৎসবের মাধ্যমে যুবক যুবতীদের মধ্যে আত্মনির্ভরতা এবং আত্মবিশ্বাস সৃস্টি হয়। যুব উৎসব শুধু নাচ-গান করার মঞ্চ নয়। এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে দক্ষতার বিকাশ ঘটে। ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত নির্মাণে যারা অংশ নেবে এই যুব উৎসবের মাধ্যমে সেই উত্তরসূরীদের খোঁজে বের করা হবে।
ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, এবছর জাতীয় যুব উৎসবের মূল ভাবনা হল ‘বিকশিত ভারত ইয়ং ডায়লগ’। এর উদ্দেশ্য হল তরুণদের ক্ষমতায়ণ করা। তারা যেন উন্নত ভারত নির্মাণে অবদান রাখতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গঠনের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। ক্রীড়ামন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যুব উৎসবের মাধ্যমে বিকশিত প্রতিভা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ণ করবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে রাজ্যের ছাত্রছাত্রী, তরুণ-তরুণী এবং যুবক-যুবতীদের সাফল্যের চিত্রও ক্রীড়ামন্ত্রী তুলে ধরেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন রাজ্যের প্রতিভাবানরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা এল ডার্লং প্রমুখ। দু’দিনের রাজ্যভিত্তিক যুব উৎসবে আজ রাজ্যের ৮টি জেলার লোকশিল্পীগণ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। নজরুল কলাক্ষেত্র প্রাঙ্গণে বিজ্ঞানমেলা অনুষ্ঠিত হয়। আগামীকাল নজরুল কলাক্ষেত্রে লোকনৃত্য, ছবি আকা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ভগৎ সিং যুব আবাসের ২নং হলে আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে কবিতা ও গল্প লেখা প্রতিযোগিতা। ১নং হলে অনুষ্ঠিত হবে তাৎক্ষণিক বক্তৃতা প্রতিযোগিতা। যুব উৎসবে রাজ্যের ৮টি জেলা থেকে ৪০ জন করে ৩২০ জন বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।



