ফুটবল শুধু একটি খেলাই নয়, এই খেলা যুব সমাজকে শৃঙ্খলা, দলগত মানসিকতা ও কর্মনিষ্ঠার শিক্ষা দেয়। রাজ্যের বর্তমান সরকার ক্রীড়া ক্ষেত্রের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি ফুটবল খেলার পরিকাঠামো উন্নত করতেও বদ্ধপরিকর। আজ আগরতলার সোনারতরী হোটেলে ত্রিপুরা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের নতুন অন্তর্ভুক্ত লাইফটাইম মেম্বারদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা একথা বলেন। উল্লেখ্য, আজ ত্রিপুরা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের নতুন ৮০ জন লাইফটাইম মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সহ উপস্থিত অতিথিগণ তাদের হাতে স্মারক এবং শংসাপত্র তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা এখন ক্রীড়া ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য স্থানে রয়েছে। বাইরে থেকে আসা ক্রীড়াবিদরাও ত্রিপুরার ক্রীড়া জগৎ-এর উন্নয়ন উপলব্ধি করতে পারছেন। ফুটবলের উন্নয়নে রাজ্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। সিন্থেটিক টার্ফ তৈরী করা হচ্ছে। দিবা-রাত্রির খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জনজাতি সম্প্রদায়ের ছেলে-মেয়েদের মধ্যেও খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই সবই সম্ভব হচ্ছে রাজ্য সরকারের ক্রীড়ার প্রতি আন্তরিক মনোভাবের জন্য। এই সরকার ক্রীড়াবিদদের সম্মান দিতে জানে। পুরোনো ক্রীড়াবিদদের স্মরণ করতে আগ্রহী।
মুখ্যমন্ত্রী তরুণ ক্রীড়াবিদদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিয়মিত অনুশীলন, পরিশ্রম, অধ্যাবসায়, দৃঢ়তা এবং শৃঙ্খলাপরায়ণ জীবনই সাফল্যের চাবিকাঠি। বর্তমান সরকার প্রতিটি প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদের পাশে রয়েছে। প্রতিভা বিকাশে সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করে চলছে। তিনি বলেন, রাজ্যে ফুটবল খেলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ত্রিপুরা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। রাজ্য সরকারও তাদের এই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি ফুটবলের উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলা মানুষকে নেশার হাত থেকে দূরে রাখতেও সুস্থ রাখতেও সহায়তা করে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারের ক্রীড়া জগৎ-এর বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী ক্রীড়া উন্নয়ন প্রকল্প, মুখ্যমন্ত্রী ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ, মুখ্যমন্ত্রী ক্রীড়া প্রতিভাশালী প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। তিনি টি.এফ.এ.-র সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, ত্রিপুরায় ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তন এসেছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্রীড়া ইত্যাদি সমস্ত ক্ষেত্রে ত্রিপুরা আজ অগ্রণী। রাজ্যে বর্তমানে অর্থের অভাবে ছেলে-মেয়েরা প্রতিভা প্রকাশে বাধাপ্রাপ্ত হয়না। রাজ্য সরকার ক্রীড়া পরিকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের জন্য কোচিং, ক্রীড়াবিদের জন্য ইনসুরেন্স, উন্নত অবকাঠামোর ব্যবস্থা করছে। তাই জাতীয় ক্ষেত্রেও রাজ্যের ছেলে-মেয়েরা সুনাম অর্জন করছেন। বর্তমানে ১৩টি সিন্থেটিক টার্ফ মাঠ রয়েছে। ১৫টি ঘাসের মাঠ তৈরির কাজ চলছে।
অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন আগরতলা পুরনিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন টি.এফ.এ.-র সভাপতি প্রণব সরকার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টি.এফ.এ.-র পেট্রন রতন সাহা।



