আগামী ২০২৮-২৯ সালে ত্রিপুরা আলুবীজ উৎপাদনে এবং ২০২৯-৩০ সালে আলুচাষে স্বয়ম্ভর হবে। এই লক্ষ্যে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। আজ মোহনপুর কৃষি মহকুমা অফিস প্রাঙ্গণে উন্নত প্রজাতির আলুবীজ এবং কৃষি সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন। তিনি বলেন, রাজ্যের ৭ হাজার ৬২২ হেক্টর জমিতে আলুচাষ করা হয়। রাজ্যে বছরে ১৫ লক্ষ ৫০ হাজার কেজি আলুর চাহিদা রয়েছে। সেই জায়গায় উৎপাদন হচ্ছে ১৪ লক্ষ ৪৬ হাজার কেজি। খুব শীঘ্রই এই ঘাটতি মিটিয়ে যাতে উদ্বৃত্ত আলুচাষ করা যায় সেজন্য দপ্তর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, কুফরি হিমালিনি প্রজাতির আলুর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এটি প্রতি কানিতে ৪ থেকে ৬ হাজার কেজি উৎপাদন হয়। রাজ্যে ২০২৩ সালে ১০৪ জন, ২০২৪ সালে ৪০০ জন এবং ২০২৫ সালে ৫ হাজার জন কৃষককে এই প্রজাতির আলুর বীজ দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার পেরুর লিমা থেকে এই বীজ আনা হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, শুধু আলুচাষ নয়, ত্রিপুরায় পেঁয়াজ চাষের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে সাদা ও লাল এই দু’ধরনের পেঁয়াজেরই চাষ হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের মূল ভিত্তিই হলো কৃষি। কৃষকরা হলেন অন্নদাতা। কিষাণ সম্মাননিধি প্রকল্পে রাজ্যে ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৫২১ জন কৃষক সহায়তা পেয়েছেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোহনপুরের কৃষি তত্ত্বাবধায়ক সৌমিত্র দে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন অনিতা দেবনাথ, ভাইস চেয়ারপার্সন শংকর দেব, মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান রাকেশ দেব, ভাইস চেয়ারম্যান সঞ্জীব কুমার দাস, ত্রিপুরা ফার্মার্স ক্লাবের সভাপতি প্রদীপ বরণ রায়, কে.ভি.কে. ধলাইয়ের কৃষি বিজ্ঞানী ড. অভিজিৎ দেবনাথ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অতিথিগণ আলুর বীজ ও কৃষি সামগ্রী কৃষকদের হাতে তুলে দেন।



