সামনে এল ত্রিপুরার স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থায় চরম উদাসীনতার ভয়ঙ্কর ছবি । রাজ্যের একমাত্র ডেন্টাল কলেজের অপরিহার্য লিফট সামান্য রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে কার্যত ‘মৃত্যুফাঁদ’ হয়ে উঠল বুধবার। আর এই দুর্ঘটনায় নরকযন্ত্রনা ভোগ করলেন এই হাসপাতালেরই তিনজন চিকিৎসক । এর মধ্যে এক নার্সিং অফিসার শ্বাসকষ্টে অজ্ঞান হয়ে পড়েন বলে জানা গেছে। ঘটনার সময় লিফটে কোনো অপারেটর উপস্থিত ছিলেন না, বলে জানান দমকলকর্মী। নিয়মবহির্ভূতভাবে অপারেটর ছাড়া লিফট চালু রাখার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এই ভয়াবহ ঘটনার পরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নির্বিকার!
এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করলো, লিফটের দায়িত্বে কোনো অপারেটর বা টেকনিক্যাল কর্মী কেন উপস্থিত ছিলেন না? দীর্ঘ অপেক্ষাতেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো তৎপরতা দেখা না যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত খবর পেয়ে দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লিফটের দরজা ভেঙে তিনজনকে উদ্ধার করেন। এদিন হাসপাতালের নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণে মারাত্মক গাফিলতির অভিযোগে কর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তাছাড়া এই ঘটনা হাসপাতালের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থার সম্পূর্ণ ব্যর্থতা প্রমাণ করে। একটি অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের জন্য বাইরের জরুরি বিভাগের অর্থাৎ দমকলের কর্মীদের উপর নির্ভর করতে হলো, যা কর্তৃপক্ষের চরম অক্ষমতাকে তুলে ধরে ।



