Wednesday, November 19, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদখোয়াই শহর জুড়ে পাগলা কুকুরের তাণ্ডবে আতঙ্ক গ্রস্ত খোয়াই বাসি। সেই কুকুরের...

খোয়াই শহর জুড়ে পাগলা কুকুরের তাণ্ডবে আতঙ্ক গ্রস্ত খোয়াই বাসি। সেই কুকুরের কামড়ে আহত ১০ জনেরও বেশি।

বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১৯শে নভেম্বর……বুধবার খোয়াই সুভাষ পার্ক এবং তার আশেপাশে এলাকাগুলিতে একটি পাগলা কুকুরের আতঙ্কে আতঙ্ক গ্রস্থ হয়ে পরে জনগণ। ঘটনার বিবনে জানা যায় বুধবার বেলা ১১ টা নাগাদ একটি পাগলা কুকুর গনহারে প্রায় দশজনের অধিক সাধারণ পথ চালিত জনগণকে কামড়াতে শুরু করে। এই পাগলা কুকুরের আক্রমণ শিকার হন স্কুল ছাত্র থেকে শুরু করে মহিলা কেউই বাদ যায়নি। এই বিষয়টি গোটা খোয়াই শহরের আশেপাশে চাউর হতেই, খোয়াই মহকুমা এলাকার জনগণের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার পর খোয়াই সহরের জনগণ কুকুর দেখলেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। তবে এই ঘটনাটি নিয়ে খোয়াইয়ের বুদ্ধিজীবী মহল খোয়াই পুর পরিষদের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। খোয়াই পুরবাসী পুর পরিষদের নির্ধারিত সমস্ত রকমের শুল্ক প্রতিবছর বা প্রতিমাসে প্রদান করে থাকে। অর্থাৎ জল কর, ভূমি কর ইত্যাদি ।পুর পরিষদ এবং নগর পঞ্চায়েতের যে সমস্ত কর গুলি রয়েছেন সেগুলি সঠিক সময়ে পরিশোধ ও করতে হয়। পুর এলাকাতে বসবাসকারী যে সমস্ত নাগরিক দের পুর পরিষদের কর বকেয়া থাকে তাদেরকে অবগত করানোর জন্য মাইক যোগে জানানো হয় পুর পরিষদের বকায়া কর নির্ধারিত সময় জমা করানোর জন্য। এখানেই বুদ্ধিজীবী মহলের অভিযোগ নির্ধারিত সময় কর আদায়ের জন্য প্রচার প্রসার করা হয় তাহলে পুর এলাকার জনগণকে সব রকমের পরিষেবা প্রদান করা হয় না কেন?খোয়াই শহরে প্রচুর সংখ্যক বেওয়ারিশ কুকুর এদিকে ওদিকে ঘোরাফেরা করে।এই কুকুর গুলির জন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না পুর পরিষদ। অন্যদিকে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের দল শীত ঘুমে আচ্ছন্ন! সব মিলিয়ে বুধবার প্রায় কুড়িজনের মত সাধারণ পথ চলতি জনতাকে এই পাগলা কুকুরটি কামড়িয়েছে বলে জানা যায়। অন্যদিকে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এই ব্যাপারে তাদের কোন পদক্ষেপেই নেই!অথচ রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন এই ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের জন্য
জনজীবনের আপৎকালীন কোন সমস্যা সমাধানে যেন এই ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট একেবারে সামনে সারিতে থাকেন। আজ কোথায় ছিল এই ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট খোয়াইয়ের বুদ্ধিজীবী মহলের প্রশ্ন। আসলে ওরা কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করতে কিছুদিন পর পরই কিভাবে দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয় এর জন্য মকড্রিল করে থাকেন। আর এই ধরনের প্রোগ্রাম ইতিমধ্যে খোয়াই সহরে আবার হতে চলেছে ! লোক দেখানোর নামে ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্টের দল ও তার সমসাময়িক দপ্তরের কর্মীরা আপৎকালীন সময়ে কি করতে হয় সেই মোহড়া করতে বা জনগনকে দেখাতে ব্যস্ত থাকে। বুধবার সকাল দশটা থেকে দুপুর প্রায় ২ টা পর্যন্ত প্রায় তিন ঘন্টা একটি পাগলা কুকুর খোয়াই শহরবাসীর জন্য আতঙ্কে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু এই তিন ঘণ্টার মধ্যে ডিজেস্টোর ম্যানেজমেন্ট এর কোন কর্মীকে খোয়াই শহরে দেখা যায়নি যে এই পাগলা কুকুরের জন্য আতঙ্কগ্রস্ত খোয়াই বাসীকে চিন্তা মুক্ত করতে পারে কুকুরটিকে আটক করে। কিন্তু না কারোরই টিকিট নাগাল পাওয়া যায়নি, এই ধরনের দপ্তর করবে আপৎকালীন সময়ে খোয়াই বাসির রক্ষা? যে দপ্তর তিন ঘন্টার মধ্যে একটি পাগলা কুকুরকে সামলাতে পারে না তারা কি আপৎকালীন সময়ে জনগণের জান, মাল রক্ষা করবে সেই প্রশ্নটাই উঠছে। যার সবথেকে বড় উদাহরণ রয়েছে খোয়াই জেলার অন্তর্গত তেলিয়ামুড়া মহকুমার চাকমা ঘাট এলাকার সেই ট্রাক ড্রাইভার এর মৃত্যুর ঘটনা। সেই মৃত্যুটি ঘটেছিল আপৎকালীন দল অথবা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের মূর্খতা, অপারগতা,অত্য ধিক জানতা এবং এই ধরনের সঠিক প্রশিক্ষণ না থাকার দরুন। আর তারা তখনই তাদের বিল থেকে বের হয় যখন কোন মোহড়া দিতে হবে এবং পয়সা পাবে । এছাড়া তাদের কোন সময় দেখা যায় না এই ধরনের দপ্তর বা তার কর্মীরা রয়েছে খোয়াইতে তা অনেকেই জানেনা।পরবর্তীতে এই ঘটনার খবর পেয়ে খোয়াই থানার ওসি কৃষ্ণ ধন সরকার, উনার পুলিশবাহিনী সহ উনি নিজে বের হন খোয়াই শহরের আতঙ্ক পাগলা কুকুরটিকে সনাক্ত করতে। যথারীতি পরবর্তীতে প্রায় দুপুর আড়াইটা নাগাদ খোয়াই এর গণকি পুলিশ লাইনের সামনে সনাক্ত হয় ওই পাগলা কুকুরটি। যথারীতি পুলিশ এবং এলাকাবাসী মিলে ওই পাগলা কুকুর টিকে কুপোকাত করেন। ওসি কৃষ্ণধন সরকার যদি নিজে উদ্যোগ গ্রহণ না করতেন তাহলে হয়তোবা পাগলা কুকুরটি আরো সাধারণ পথ চালতি জনতাকে কামড়াতো বলে খোয়াই বাসির অভিমত। এর জন্য খোয়াই থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকার কে সাধুবাদ জানান খোয়াই শহরবাসী।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

three × 1 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য