গ্রামীণ এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে রাজ্য সরকার রাবার চাষ সহ অন্যান্য ক্ষেত্রগুলিকে উৎসাহ দিচ্ছে। মহিলাদের নিয়ে স্বসহায়ক দল গঠন করে তাদের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী বিক্রির সুযোগও রাজ্য সরকার করে দিচ্ছে। বর্তমানে ত্রিপুরা রাবার উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আরও বেশি জায়গায় রাবার চাষ করে রাজ্যকে প্রথম স্থানে নিয়ে যেতে হবে। আজ প্রজ্ঞাভবনে রাবার বোর্ড আয়োজিত এমরোব ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড সিরোমনি ২০২৫ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে বর্তমানে ১৩৩.৮০৯ হেক্টর জমিতে রাবার চাষ হচ্ছে। রাবার উৎপাদন হচ্ছে ১১৬.০৫৮ মেট্রিক টন। রাজ্যকে আত্মনির্ভর করতে রাবার চাষের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। জুমিয়াদের পুনর্বাসন দিয়ে তাদের রাবার চাষের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। রাজ্যে শিল্পের প্রসারে বর্তমান রাজ্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। রাজ্যে নতুন শিল্পনীতি ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে সাফল্যও আসছে। গত কয়েক বছরে বর্হিরাজ্যে ১২০ জন শিল্পোদ্যোগী ৩৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছেন। রাজ্যের রাবার শিল্পের অগ্রগতিতে মুখ্যমন্ত্রী রাবার মিশন প্রকল্পে ৫ বছরের মধ্যে ৩০ হাজার হেক্টর নতুন রাবার বাগান করার কাজ চলছে। রাজ্যের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতিতে সব অংশের মানুষকে এগিয়ে আসার জন্য শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী আহ্বান জানান।



