স্বামী বিবেকানন্দের ভাবধারায় যুব সমাজকে একতাবদ্ধ করা, সৃজনশীল মানসিক গঠনের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে এবং সঠিক পথে পরিচালিত করার লক্ষ্যেই যুব উৎসবের আয়োজন করা হয়। যুব সমাজই আগামী দিনে দেশের ভবিষ্যৎ। এদের সঠিক পথ দেখাতে হবে। সূর্যমণিনগর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে আজ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাভিত্তিক যুব উৎসব এবং বিজ্ঞান মেলা ২০২৫-এর উদ্বোধন করে সাংসদ (রাজ্যসভা) রাজীব ভট্টাচার্য একথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গঠন করার লক্ষ্য স্থির করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেরণায় সরকার বর্তমানে যুব সমাজকে নতুনভাবে দিশা দেখানোর কাজ করে যাচ্ছে। যুব সমাজকে আগামীর পথ চলা সহজ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প এবং কর্মসূচি রূপায়িত করা হচ্ছে। আলোচনায় অংশগ্রহণ করে ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল বলেন, যুব সমাজের মধ্যে দেশসেবা, রাষ্ট্রসেবা, জনসেবার মানসিকতা তৈরি করার লক্ষ্যে কাজ করছে বর্তমান সরকার। দৈহিক, মানসিক, সৃজনশীল সহ সার্বিকভাবে যুব সমাজের বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যেই যুব উৎসব পালিত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল। স্বাগত ভাষণ রাখেন যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের উপ-অধিকর্তা প্রবাল কান্তি দেব। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডুকলি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান ভুলন সাহা, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক ও সমাহর্তা অরূপ দেব, ত্রিপুরা স্পোর্টস কাউন্সিলের সচিব সুকান্ত ঘোষ প্রমুখ। যুব উৎসব উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন বিষয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাভিত্তিক বিজ্ঞান মেলায় ৮৪ টি মডেল প্রদর্শিত হয়।



