রাজ্যে এখন উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। শল্য চিকিৎসা সহ নানা চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করে রাজ্যের মানুষ রাজ্যেই চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করে উপকৃত হচ্ছেন। রাজ্যেই চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। সেই প্রবণতাকে বজায় রাখতে হবে। টেলিমেডিসিন ব্যবস্থা সহ উন্নত স্বাস্থ্য পরিকাঠামোগুলির যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। একান্ত জরুরি প্রয়োজন না হলে কথায় কথায় রাজ্যের বাইরে প্রাইভেট হাসপাতালগুলিতে নিজেদের গাটের প্রচুর অর্থ ব্যয় করে চিকিৎসা করানোর প্রবণতা কমাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষুর ৫৭তম পর্বে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে স্বাস্থ্যজনিত ও অন্যান্য সমস্যা নিয়ে আসা মানুষদের সাথে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন।
আজ মুখ্যমন্ত্রী সরকারি বাসভবনে মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যজনিত ও অন্যান্য সমস্যা নিয়ে আসা মানুষদের সমস্যার কথা শুনেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। আজ মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষুতে ঊনকোটি জেলার চন্ডিপুর ব্লক থেকে সুমতি দেবনাথের দেবর এসেছেন তার বোনের জটিল চক্ষুজনিত রোগের চিকিৎসা সহায়তায়, ডুকলি ব্লকের কবিতা ঋষিদাস এসেছেন তার মেয়ের হার্টের চিকিৎসার সহায়তায়, তেলিয়ামুড়ার তুইসিন্দ্রাই থেকে কমল সরকার এসেছেন তার কন্যার চিকিৎসার সহায়তায়। সেই রূপ আগরতলার আড়ালিয়া থেকে কমলেন্দু ধর, উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর ব্লকের প্রদীপ দেবনাথ, সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া থেকে তপন কুমার দাস, ধলাই জেলার মনু ব্লক থেকে রাসমোহন দাস, মোহনভোগ ব্লক থেকে তাপস দে এবং আগরতলার টাউন বড়দোয়ালি থেকে গৌতম পাল, আগরতলার রামনগর থেকে কুমার নারায়ণ চৌধুরী এসেছেন তাদের চিকিৎসাজনিত ও অন্যান্য সমস্যা সমাধানের জন্য। এছাড়া বিলোনীয়ার কলাবাড়িয়া থেকে দেবাশিস দাস এসেছেন তার কন্যার জটিল রোগের চিকিৎসার সহায়তার জন্য। প্রত্যেকে তাদের চিকিৎসাজনিত ও অন্যান্য সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেকের সমস্যা সম্পর্কে অবগত হন এবং উপস্থিত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে আজ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের সচিব তাপস রায়, মুখ্যমন্ত্রীর অতিরিক্ত সচিব সমিত রায় চৌধুরী, স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা. দেবাশ্রি দেববর্মা, অটলবিহারী বাজপেয়ী রিজিওন্যাল ক্যান্সার হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডা. শিরোমণি দেববর্মা, জিবিপি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডা. শঙ্কর চক্রবর্তী ও অন্যান্য আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।



