সরকার এবং প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতি রোধে জুডিশিয়ারি এবং প্রেসের ভূমিকা অনবদ্য। মঙ্গলবার আগরতলা প্রেসক্লাবে তিনদিন ব্যাপি মিডিয়া ওয়ার্কশপের উদ্বোধন করে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা ।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য ,আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রণব সরকার ,সম্পাদক রমাকান্ত দে সহ অন্যান্যরা ।তিনদিনের এই কর্মশালায় প্রথম দিন ৩৫৬ জন সাংবাদিক এবং চিত্র সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেছেন
মঙ্গলবার থেকে আগরতলা প্রেস ক্লাবে তিন দিনের মিডিয়া কর্মশালা শুরু হয়েছে। এদিন তিনদিন ব্যাপী এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা ।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য ,আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রণব সরকার ,সম্পাদক রমাকান্ত দে সহ অন্যান্যরা ।প্রদীপ জ্বালিয়ে এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। কর্মশালায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা বলেন, রাজ্যের সংবাদ জগতের সাথে তার বহু আগে থেকেই পরিচয় ।অনেক আগে থেকেই তিনি মিডিয়া বান্ধব ছিলেন ।এতে তার অনেকটাই সুবিধা হয়েছে ।মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,আমরা যদি ভারতের সংবিধান দেখি ,তবে সংবিধানের আর্টিকেল -এর ১৯-১ অনুচ্ছেদে লেখা আছে, প্রেস কে যতক্ষণ পর্যন্ত না ফ্রিডম দেওয়া হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সঠিকভাবে কাজ কর্ম চলবে না। “ফ্রিডম সুডবি এসটাবলিসড”। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন ,সংবিধানই বলছে ,গণতন্ত্রের চারটি পিলার ।এর মধ্যে এক্সিকিউটিভ ,লেজিসলেটিভ এবং জুডিশিয়ারি- এই তিনটি পিলার হচ্ছে অফিসিয়াল ।অপর পিলারটি হচ্ছে প্রেস ।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জুডিশিয়ারি এবং প্রেস এর কাজ গণতন্ত্রের জন্য খুবই প্রয়োজন ।যারা ক্ষমতায় রয়েছেন তারা যেন ক্ষমতার অপব্যবহার না করেন, কোথাও যেন দুর্নীতি না হয়, সেই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জুডিশিয়ারি এবং প্রেস এর ভূমিকা বিরাট।
প্রিন্ট মিডিয়া ,ওয়েবসাইট মিডিয়া এবং ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া এই তিন ধরনের সংবাদ কর্মীদের নিয়ে তিন দিন এই কর্মশালা চলবে। মঙ্গলবার কর্মশালার শুরুর দিনে ৩৫৬ জন সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিক এবং সংবাদ কর্মী এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন ।



