বনধ সমর্থকদের হাতে আক্রান্তদের দেখতে শুক্রবার জিবি হাসপাতালে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা। এই ধরনের আক্রমণের নিন্দা জানান এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলেও স্পষ্ট ঘোষণা দেন।
বিদেশি বিতাড়ন ইস্যুকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা রাজ্য জুড়ে সিভিল সোসাইটি তথা সভ্য সমাজের উদ্যোগে যে বনধের ডাক দেওয়া হয় তা অসভ্যতার মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল কিছু কিছু জায়গায় বলে অভিযোগ। এই অভিযুগের কারণ হচ্ছে বনধ সমর্থকদের হাতে রাজ্যের বহু জায়গায় সাধারণ মানুষদেরকে রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। ধোলাই জেলার সুরমা বিধানসভা এলাকায় বনধ সমর্থকদের আক্রমণের ফলে আক্রান্ত হয়েছেন সালেমা ব্লকের বিডিও,ইঞ্জিনিয়ার সহ সরকারি কর্মী তাদেরকে আগরতলার জিবি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহতদের দেখতে শুক্রবার জিবি হাসপাতালে ছুটে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা। তিনি আহত ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট দেখেন ও কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন। এই বিষয়ের সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যেভাবে বাশ রড ইত্যাদি অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে তা আন্দোলনের নামে এক কলঙ্কিত অধ্যায় সৃষ্টি করা হয়েছে। এমনকি ছিনতাই পর্যন্ত করা হয়েছে, এটা কি ধরনের আন্দোলন বলে প্রশ্ন করেন তিনি? পুলিশ তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনাগুলিরর সঙ্গে জড়িতদের কাউকে ছাড়া হবে না বলেও পরিষ্কার জানিয়ে দেন।
বনধকে ঘিরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে এ ধরনের আক্রমণের খবর এসেছে বিক্ষিপ্ত ভাবে। এই ধরনের আক্রমণের ঘটনাকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতি জনজাতি উভয় অংশের বুদ্ধিজীবী মানুষ।



