৬৫ পেরিয়ে ৬৬ বছরে পদার্পণ করলো রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতাল জিবি তথা এজিএমসি। হাসপাতালের ৬৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন তথা বিধায়িকা মিনারানী সরকার, স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গীত্তে ,এজিএমসির প্রিন্সিপাল ডাক্তার অনুপ কুমার সাহা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা ।প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে এদিন হাসপাতালে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়।
১৯৬১ সালের ১৪ অক্টোবর আগরতলায় গোবিন্দ বল্লভ পন্থ হাসপাতাল যাত্রা শুরু করে। দেখতে দেখতে বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে রাজ্যের এই প্রধান হাসপাতালটি মঙ্গলবার ৬৫ বছর অতিক্রান্ত করে ৬৬ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে ।প্রতিষ্ঠার ৬৫ বছর উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার জিবি হাসপাতাল তথা এজিএমসির কনফারেন্স হলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।এই অনুষ্ঠানে ছিলেন হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন তথা বিধায়িকা মিনারানী সরকার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সচিব কিরণ গত্তে, এজিএমসির অধ্যক্ষ ডাক্তার অনুপ কুমার সাহা, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের সদস্য সচিব ডাক্তার নূপুর দেববর্মা সহ অন্যান্যরা ।এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জিবি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন তথা বিধায়িকা মিনা রানী সরকার বলেন ,১৯৬১ সাল থেকে চলতে শুরু করে ধাপে ধাপে জিবি হাসপাতাল উন্নতি শিখর চড়ায় পৌঁছে গেছে ।এটা সম্ভব হয়েছে হাসপাতালের সব চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতায়। পাশাপাশি রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহার এই হাসপাতাল উন্নয়নে গুরুত্ব অপরিসীম বলে জানান তিনি। বিধায়িকা আরো জানান ,বর্তমানে এই হাসপাতালে ১৪১৩ টি শয্যা রয়েছে ।চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা দিনরাত এই হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়নে খেটে চলছেন ।তিনি আরো বলেন ,চিকিৎসকরা জীবন্ত ভগবান হলেও আদপে তারাও মানুষ। মানুষের ভুলভ্রান্তি থাকতেই পারে ।তেমনি তাদেরও কখনো কখনো কিছুটা ভুল ভ্রান্তি হয় ।কিন্তু এই ভুল ভ্রান্তি গুলি দূর করতে সচেষ্ট হওয়ার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান জিবি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন তথা বিধায়িকা মিনারানী সরকার।
এদিন জিবি হাসপাতালের 65 তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় ।জিবি হাসপাতালের কর্মীরা এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেন ।রক্তদান শিবিরে রক্তদাতাদের মধ্যে উৎসাহ এবং উদ্দীপনা ছিল লক্ষ্য করার মতো।