দক্ষতা বৃদ্ধি করে দিব্যঙ্গ জনদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একটি উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার ।এর জন্য রাজ্যে একটি বৃহৎ আকারের সেন্টার করা হবে। শনিবার সমাজ কল্যাণ দপ্তরের সেবা পাক্ষিক কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে চিফ মিনিস্টারস স্কিম ফর পারসন with intelectual disabilities অনুমোদন পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে এই কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭৫ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দেশব্যাপী ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫ দিন সেবা পাক্ষিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্য সরকারও সেবা পাক্ষিক কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ।এরই অঙ্গ হিসেবে শনিবার সমাজ কল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে রাজধানীর মুক্তধারা প্রেক্ষা গৃহে দিব্যাঙ্গজনদের বিভিন্ন সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয় ।একই অনুষ্ঠানে চিফ মিনিস্টার্স স্কীমম ফর পারসন্স উইথ ইন্টেলেকচুয়াল ডিজেবিলিটিজ এর অনুমোদন পত্র প্রদান করা হয় ।অনুষ্ঠানের দিব্যাঙ্গজন খেলোয়ারদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয় ।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডক্টর মানিক সাহা ,রাজ্য সভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের সচিব তাপস রায়, যুব বিষয়ক এবং ক্রীড়া দপ্তরের সচিব ড প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা ।এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,দিবাঙ্গ জনরা আদৌ সমাজের বোঝা নয় ।পিতা মাতারা যেন তাদের পরিবারের বোঝা মনে না করেন সেই আহ্বান জানান তিনি ।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দিব্যাঙ্গজনদের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা বের করে আনতে হবে। এই লক্ষ্যে দক্ষতা বৃদ্ধি করে তাদের সমাজের প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ নিতে হবে এই লক্ষ্যে সরকার রাজ্য একটি কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য চিন্তা ভাবনা করছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য বলেন ,দিব্যঙ্গ জনেরাও সমাজেরই একটি অংশ। তারাসহ আমরা সবাই মিলে আমাদের উদ্যোগকে কাজে লাগিয়ে আমরা যেন সমাজের প্রত্যেক অংশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষকে সেবা দিতে পারি সেই লক্ষ্য আমাদের রাখতে হবে ।এই লক্ষ্যকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যেই কাজ করে চলছে রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য চিফ মিনিস্টার্স স্কীম ফর পারসন্স উইথ ইন্টেলেকচুয়াল ডিজাবিলিটিজ অনুমোদন প্রাপ্ত দিব্যাঙ্গজনেরা পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাবে। রাজ্যের মোট ৮৯১ জনকে এই টাকা প্রদান করা হবে ।এর জন্য সরকারের ব্যয় হবে ৪৪ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা।