বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২৬শে সেপ্টেম্বর……বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ত্রিপুরার বিক্রমাদিত্য কবি অর্থাৎ সঙ্গীতজ্ঞ মহারাজ বীরচন্দ্র মানিক্যের ১৮৬ তম জন্মদিন যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো খোয়াই জেলা গ্রন্থাগারে। ১৮৩৯ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর ত্রিপুরার মানিক্য রাজবংশের জ্যেষ্ঠ মহারাজা বীরচন্দ্র মানিক্যের জন্ম। তিনি যেমন ছিলেন একাধারে কবি, গায়ক,সঙ্গীতজ্ঞ ও বিখ্যাত আলোকচিত্র শিল্পী। তিনি ত্রিপুরার গ্রন্থাগার আন্দোলনের ও পথিকৃৎ। উনার পত্তন করা
বর্তমান বীরচন্দ্র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার তাই ওনার নামেই নামান্কিত এবং পরবর্তীতে সারা ত্রিপুরা রাজ্যেই গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার সূচনা।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় খোয়াই জেলা গ্রন্থাগারের পাঠকক্ষে যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উক্ত মহা মনীষীর জন্মদিন পালন করা হয়।এই অনুষ্ঠানের মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে উক্ত অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন খোয়াই পুর পরিষদের মাননীয় ভাইস-চেয়ারপার্সন শ্রী নিবাস সাহা। এছাড়া অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই পুর পরিষদের মাননীয় চেয়ারপার্সন ইন কাউন্সিল তথা খোয়াই জেলা সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির মাননীয় সদস্য শ্রী পীযূষকান্তি চৌধুরী, বর্ষীয়ান কবি-সাহিত্যিক শ্রী প্রণবকান্তি চৌধুরী, বিশিষ্ট শিক্ষিকা শ্রীমতী করুনা দেবনাথ প্রমুখ। মঞ্চে অতিথিদের বই,খাতা ও কলম দিয়ে বরণ করে নেন খোয়াই জেলা গ্রন্থাগারের মাননীয় গ্রন্থাগারিক শ্রী জহরলাল দাস।উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী সৌরপ্রতিম শর্মা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন খোয়াই জেলা গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক তথা বিশিষ্ট লেখক কবি শ্রী জহরলাল দাস। এর পরেই অতিথিদের হাত ধরে আনুষ্ঠানিক ভাবে আবরণ উন্মোচন করা হয় খোয়াই জেলা গ্রন্থাগারের নিজস্ব দেওয়াল ম্যাগাজিন প্রত্যয় এবং লেখক কবি জহরলাল দাস সম্পাদিত খোয়াই তথা রাজ্যের সুপরিচিত ষান্মাসিক সাহিত্যপত্র ভুবন ডাঙা শারদীয় সংখ্যা –১৪৩২ বাং এর।এর পর একে একে বক্তব্য রাখেন খোয়াই পুর পরিষদের মাননীয় ভাইস চেয়ারপার্সন শ্রী নিবাস সাহা মহোদয়, জেলা সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির মাননীয় সদস্য শ্রী পীযূষকান্তি চৌধুরী ও বর্ষীয়ান কবি সাহিত্যিক শ্রী প্রণবকান্তি চৌধুরী। এরপর কথা ও কবিতা পাঠে অংশ নেন উপস্থিত কবি করুনা দেবনাথ,কবি সুদীপ পাল,কবি গৌতম অধিকারী,কবি রাজীব আচার্য্য, কবি সুমিতা রায়,কবি রাখী পাল,কবি সুব্রত দেবসহ আরো অনেক কবি- শিল্পী সাহিত্যিক।
পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ সহ সমস্ত লেখক কবির হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন গ্রন্থাগারিক জহরলাল দাস। সব মিলিয়ে শারদ উৎসবের প্রাক্ লগ্নে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খোয়াইয়ের সাহিত্য সংস্কৃতি অঙ্গনে মননশীলতার এক স্নিগ্ধ প্রবাহ সঞ্চারিত হয়ে গেল প্রত্যেকের মনে।