দীর্ঘ প্রায় কয়েক বছর ধরে পানীয় জলের সমস্যা নাজেহাল গ্রামবাসীরা। এই ঘটনা কোন উপজাতি অধ্যুষিত এ.ডি.সি ভিলেজের নয়, এই ঘটনা তেলিয়ামুড়া আর.ডি ব্লকের অন্তর্গত মধ্য কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নং ওয়ার্ড এলাকায়। এলাকার জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে ডি.ডাব্লিউ.এস দপ্তর পানীয় জলের সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকলেও কোনো এক অজ্ঞাত কারণে এই সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। ফলে বাড়ি থেকে কয়েক শ মিটার দূর থেকে জল নিয়ে এসে পানীয় জলের তেষ্টা নিবারণ করা হচ্ছে। জানা যায়, তেলিয়ামুড়া আর.ডি ব্লকের অধীনে মধ্য কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় দীর্ঘ প্রায় কয়েক বছর যাবত পানীয় জলের হাহাকার চলছে। গ্রামের মানুষজনেদের বাড়ি থেকে কয়েক শত মিটার দূরের একটি ওয়াটার সাপ্লাই পয়েন্টে এলাকার মানুষজনদের এখন ভরসা। অভিযোগ, পানীয় জলের সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়টি এলাকার জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে ডি.ডাব্লিউ.এস দপ্তর ওয়াকিবহাল থাকলেও পানীয় জলের সমস্যা নিরসনে কোনো প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। ফলে এলাকার মানুষজনদের প্রচন্ডভাবে বেগ পেতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে খোঁদ কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নং ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধির মা অনেকটাই আক্ষেপের সুরে বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যা চলছে। আর এখন পর্যন্ত পানীয় জলের সমস্যা নিরসনে কোনো প্রকার ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়। অপরদিকে এলাকার এক প্রবীণ ব্যাক্তি আক্ষেপের সুরে জানান, দেড় থেকে দুই বছর পূর্বে এই পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের জন্য পথ অবরোধও করা হয়েছিল। মাঝে-মধ্যে গাড়িযোগে এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। তাছাড়া তিনি আরো বলেন, এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বসানো হলেও এখন পর্যন্ত সেটি দিয়ে জল প্রদান করা হয়নি। এই ব্যাপারে এলাকার গ্রাম প্রধান রত্নাপ্রভা দাসের গোচরে বিষয়টি নেওয়া হলেও কোন প্রকার ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এখন দেখার বিষয় কবে নাগাদ পানীয় জলের সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করে দপ্তর।