আগামী ১৩ অক্টোবর ১২ ঘন্টার ত্রিপুরা বনধ ডাকল নাগরিক সমাজ ।৪ দফা দাবি ভিত্তিতে এই বন্ধ ডাকা হয়েছে। এদিন বিধায়ক আবাসে সাংবাদিক সন্মেলন করে ১৩ অক্টোবরের রাজ্য বনধের কথা ঘোষনা করেন তিপ্রা মথা বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা।
ঘরে এবং বাইরে সরকারকে চাপে রাখতে কৌশলী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সরকারের অন্যতম শরিক দল তিপ্রা মথা। গতকালই বিধানসভা অধিবেশন শুরুর আগে বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে মথার পরিষদীয় সদস্যদের পক্ষ থেকে মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা জানিয়েছিলেন বিধানসভায় তারা দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশ এনে অনুপ্রবেশ রোধ এবং ত্রিপাক্ষিক চুক্তি রূপায়ণে সরকারে অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইবেন। শনিবার বিধায়কদের আবাসে নাগরিক সমাজের নাম দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে চার দফা দাবির ভিত্তিতে ত্রিপুরা বন্ধের কথা ঘোষণা করেন মথা বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা। আগামী ১৩ অক্টোবর সকাল সন্ধ্যার ১২ ঘন্টার ত্রিপুরা বনধ হবে বলে জানান তিনি ।চার দফা দাবির ভিত্তিতে এই বনধ আহবান করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে এই দাবিগুলিও তুলে ধরেন মথা বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা। দাবিগুলি হল ,কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুসারে বিদেশি সনাক্তকরণের জন্য অবিলম্বে প্রশাসনিক উদ্যোগ শুরু করা, প্রতিটি জেলায় ডিটেনশন ক্যাম্প স্থাপন করা, টাস্ক ফোর্স গঠন করা এবং রাজ্যে ইনার লাইন পারমিট চালু করা ।সাংবাদিক সম্মেলনে মথি বিধায়ক জানান ,কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ত্রিপুরা সরকারের প্রধান সচিব কে অভিভাষীদের সনাক্ত এবং বহিষ্কারের জন্য অভিযান শুরু করার জন্য বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছে। বিধায়কের অভিযোগ, রাজ্য সরকার ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট নির্দেশ উপেক্ষা করে রাজ্যে অবৈধ বিদেশী অভিবাসীদের সনাক্ত করার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে ইনার লাইন পারমিট চালুর স্বপক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মথা বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা জানান ,ত্রিপুরায় বাংলাদেশ এবং ভারতের অন্যান্য রাজ্য থেকে বিদেশীদের ব্যাপক অনুপ্রবেশ চলছে ।এই ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করার জন্য ইনার লাইন পারমিট একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।