দিব্যাঙ্গদের জন্য আয়োজিত জাতীয় স্বাস্থ্য উৎসবে মুখ্যমন্ত্রী দিব্যাঙ্গজন সমাজের সবচেয়ে সুন্দর ব্যক্তি বললেন মুখ্যমন্ত্রী

দিব্যাঙ্গজন সমাজের সবচেয়ে সুন্দর ব্যক্তি। তারা মানুষকে জীবনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব রাখতে অনুপ্রাণিত করে, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব শহীদ ভগত সিং যুব ছাত্রাবাসে দিব্যাঙ্গজনদের জন্য আয়োজিত জাতীয় স্বাস্থ্য উত্সবে বলেছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে দিব্যাঙ্গজনরা মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য অতিথিদের সামনে যোগাসন করেন। তারপরে মুখ্যমন্ত্রী সাদা বেলুন ত্যাগ করেন এবং অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। বিশেষ অলিম্পিক ভারত-ত্রিপুরা এবং অভয় মিশনের উদ্যোগে আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের একটি অংশ হিসাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়েছিল ইভেন্টে, দিব্যাঙ্গজনদের তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং তাদের হস্তান্তর করা হয়েছিল। বিভিন্ন আইটেম যেমন জুতা, স্বাস্থ্যবিধি আইটেম এবং মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকারের দায়িত্ব সমাজের দুর্বল অংশের কাছে সব ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু বিগত দিনে, এই শিশুদের প্রতিবন্ধী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল যা তাদের এবং তাদের পরিবারের জন্য একটি অপমানজনক শব্দ। প্রধানমন্ত্রী ‘দিব্যাঙ্গজন’ হিসাবে সরকার নেওয়ার পরে নাম পরিবর্তন করেছেন যার অর্থ যারা বিশ্বে এসেছেন বিশেষ কিছু করার জন্য তাদের পিতামাতাকে উত্সাহিত করে, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, যাদের সবকিছু আছে তারা অনেক কিছু করতে সক্ষম হয় না। নাম, অর্থ, সম্পত্তি, বংশ ভালো মানুষ হওয়ার কারণ নয়। তিনি বলেন, দিব্যাঙ্গজনরা অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছে, মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণ করছে, যার মানে একজন ব্যক্তির পরিচয় তার কাজ। তিনি অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান যেন তারা সন্তানদের ভালো গুণাবলি চিহ্নিত করে সেই গুণে উজ্জ্বল হয়ে উঠতে উৎসাহিত করেন। চলমান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এইডস সংক্রমণ ও মাদকাসক্তি বাড়ছে। সুস্থ মানুষ নানাভাবে এই দুষ্টচক্রে জড়িয়ে পড়ছে। বর্তমান রাজ্য সরকার মাদকমুক্ত ত্রিপুরা গড়ার আন্তরিক লক্ষ্যে রয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি দিব্যাঙ্গজনদের সাথেও আলাপচারিতা করেন এবং তাদের সাথে সেলফি তোলেন। একজন দিব্যাঙ্গজন, ভট্টপুকুর কালী টিলার শুক্লা সূত্রধর এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য একটি গান গেয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা দেব সরকার, আগরতলা মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের মেয়র দীপক মজুমদার, সেন্সাস অপারেশন ডিরেক্টর প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, স্পেশাল অলিম্পিক ভারত-ত্রিপুরার সভাপতি প্রবীর কুমার নাগ, অভয় মিশনের সভাপতি নির্মল দেব। এবং সচিব সুস্মিতা দে