বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ৮ই সেপ্টেম্বর…. সোমবার দুপুরে সদ্য মাতৃহারা খোয়াই এর সাংবাদিক চক্রবর্তীর খোঁজ খবর নিতে উনার বাড়িতে উপস্থিত হলেন রাজ্যের বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট ইউনিয়নের সম্পাদক প্রণব সরকার, দৈনিক সংবাদের বরিষ্ঠ সাংবাদিক দিপন্ত মজুমদার ও খুমলু্ঙ প্রেসক্লাব এর সম্পাদক রঞ্জিত দেববর্মা। আগত বলিষ্ঠ সাংবাদিকরা উনার মাতৃ বিয়োগের জন্য উনার পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেন এবং সেদিনকার সমস্ত ঘটনা জানার চেষ্টা করেন। গতবার শনিবার রাত প্রায় আটটা নাগাদ খোয়াই জেলা হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাংবাদিক আসিস চক্রবর্তীর জন্মদাত্রী মা বেলা চক্রবর্তী ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে পরলোকে চলে যান। মৃত্যুকালে ওনার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তবে মৃত্যুর কয়েকদিন আগে থেকেই বুকে ব্যথা অনুভব করছিলেন। মৃত্যুর দিন অর্থাৎ শনিবার সন্ধ্যায় উনার বুকে ব্যথাটা আবার বাড়ে, শেষে তড়িঘড়ি শনিবার রাত সাতটা নাগাদ উনাকে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । তখনো তিনি দিব্যি সুস্থ ছিলেন সবার সাথে কথা বলছিলেন এবং চিকিৎসক জিজ্ঞেস করেছিলেন কোথায় এসেছেন ? তিনি উত্তর দিয়েছেন হাসপাতাল এসেছি। এখনই ঠিক হয়ে বাড়ি ফিরে যাব এই কথাগুলি পরিবার সদস্যদের জানান। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই আশীষ চক্রবর্তীর মা বেলা চক্রবর্তী বুকের ব্যথা তীব্র থেকে তীব্র হয়ে ওঠে এবং আস্তে আস্তে হাসপাতালের বেডে নিতিয়ে পড়ে যান। তা দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাথে সাথে অক্সিজেন লাগান এবং স্যালাইন ব্যবহার করেন। কিন্তু চিকিৎসক অনেক কষ্টে স্যালাইন দেওয়ার জন্য উনার নারিকে খুঁজে পান। এরমধ্যে ইসিজির ব্যবস্থা করার সাথে সাথে অর্থাৎ যখন ইসিজি করতে যান চিকিৎসক তখন দেখতে পান ইসিজির কাগজে হৃদস্পন্দনের কোন চিহ্ন নেই সোজা একটি দাগ চলে গেছে। তা দেখে চিকিৎসক বুঝতে পারেন তিনি মৃত্যু পথযাত্রী ৯৯ শতাংশ। এরপর চিকিৎসক উনার বুকে চাপ দিয়ে চিকিৎসার রেসপিরিটি পদ্ধতি অনুযায়ী উনার বুকে চাপ দিতে থাকেন অনেকক্ষণ সময় ধরে যাতে করে ওনার শ্বাস এবং হৃদস্পন্দন ফিরে আসে। এভাবে চিকিৎসক অনেকক্ষণ চেষ্টা করার পরও উনার হৃদস্পন্দন এবং শ্বাস প্রশ্বাস ফিরে আসেনি তখন চিকিৎসক বুঝতে পারে তিনি মারা যান। এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসক আশীষ চক্রবর্তীর মা বেলা চক্রবর্তীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শেষে সাংবাদিক চক্রবর্তীর বাড়িতে আগত সাংবাদিকদের প্রতিনিধি দলটি সাংবাদিক আশীষ চক্রবর্তী বলেন মনোবল শক্ত রেখে উনার মার শ্রাদ্ধের কাজ যেন সুসম্পন্ন করে সেই আবেদন করেন পাশাপাশি উনার মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।