Friday, September 5, 2025
বাড়িখবররাজ্যশিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ভাবি প্রজন্মকে মনে করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ভাবি প্রজন্মকে মনে করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

শিক্ষকদের পুষ্টিতে পুষ্ট হয়েই ছাত্ররা বড় হচ্ছেন ,ভবিষ্যৎ নাগরিক হচ্ছেন ,দেশ এবং রাজ্য চালাচ্ছেন ।তাই জীবন গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ ।৬৪তম জাতীয় শিক্ষক দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে ভাবি প্রজন্মকে এই কথা মনে করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা ।

সারা দেশের সাথে রাজ্যে ও শুক্রবার 64 তম জাতীয় শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হয় ।এই উপলক্ষে রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় আগরতলার রবীন্দ্রশতবার্ষিকী ভবনে। বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা ।এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের সচিব রাভেল হেমেন্দ্রকুমার, দপ্তরের অধিকর্তা এনসি শর্মা সহ অন্যান্যরা ।এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,সবার জীবনের প্রথম শিক্ষক হলেন তাদের মা বাবা। এরপর শিশুরা যখন বিদ্যালয়ে যায় তখন থেকে শুরু হয় অন্যরকম শিক্ষাজীবন ।সেখানে রোল মডেলের ভূমিকা পালন করেন শিক্ষকরা ।মুখ্যমন্ত্রী জানান ,এখন পর্যন্ত রাজ্যে ১৯ হাজার ৮০০ জনের চাকরি হয়েছে ।এর মধ্যে গত পাঁচ বছরে ৫ হাজার ২১৫ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে ।১২৫ জন লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ করা হয়েছে। জেআরবিটির মাধ্যমে ৫৬৭ নন টিচিং স্টাফ নিয়োগ করা হয়েছে। শিক্ষকরা দীর্ঘদিন পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত ছিলেন ।অ্যাড হক পলিসি গ্রহণ করে তাদের প্রমোশন দেওয়া হয়েছে। প্রমোশনের বিষয়টি নিয়ে তিনি আধিকারিক এবং আইনজীবীদের সাথে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। অল্প দিনের মধ্যেই প্রোমোশনের বিষয়টি নিয়ে নতুন কিছু একটা ঘোষণা শিক্ষকরা শুনতে পারেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী ।তিনি বলেন, সব শিক্ষক রাই চান শিক্ষার্থীরা প্রকৃত মানুষ হোক, প্রকৃত শিক্ষিত হোক, দেশ এবং রাজ্যের উন্নয়নে সামিল হোক ।তিনি আরো বলেন ,শিক্ষকরা একটা গাছের মতো ।ছাত্ররা এই গাছ থেকে পুষ্টি পান ।এই পুষ্টি পেয়ে তারা বড় হন ।দেশ এবং রাজ্য চালান ।কিন্তু তাদের ভিত্তিটা গড়ে দেন শিক্ষকরাই ।এই ভিত্তিই তাদের একান্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন ,বহু ত্যাগ ও তিতিক্ষার ফলেই শিক্ষকরা এই পেশা বেছে নিয়েছেন ।তারা অন্য পেশাতেও যেতে পারতেন।

এই অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডক্টর অতুল দেব বর্মাকে পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সম্মানে সম্মানিত করা হয় ।এছাড়া ডিসি পাড়া হেমন্ত স্মৃতি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা প্রনতি দেববর্মাকে মহারানী তুলসীবতী সম্মান এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক সমীর চক্রবর্তীকে ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী সম্মানে সম্মানিত করেন মুখ্যমন্ত্রী ।এছাড়াও মাধ্যমিক এবং উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ছয় জন প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাকে ,নিম্ন বুনিয়াদী এবং উচ্চ বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের তিনজন প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাকে এদিন সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

two × 2 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য