দুই সংস্হার সাফাই কর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইজিএম হাসপাতাল চত্বরে লঙ্কাকাণ্ড। এই ঘটনায় এদিন আইজিএম হাসপাতাল চত্বরে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায়।
আইজিএম হাসপাতালে সাফাইয়ের কাজের দায়িত্ব পেয়েছে অল ত্রিপুরা সিকিউরিটি ফোর্স তথা ATSF নামে একটি সংস্থা। টেন্ডারের মাধ্যমে সংস্থাটি এই কাজ পায় ।কিন্তু বর্তমানে আইজিএম হাসপাতালে সাফাই এর কাজে নিয়োজিত রয়েছেন সুলভ কোম্পানির ১৬৩ জন সাফাই কর্মী ।সোমবার হাসপাতাল সাফাইয়ের কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন কোম্পানি ATSF হাসপাতাল চত্বরে বালতি ঝাড়ু ইত্যাদি সামগ্রী এনে জড়ো করে ।তখন সুলভ কোম্পানির কর্মরত সাফাই কর্মীরা এতে বাধা দেয়। বিষয়টি নিয়ে প্রথমে বাক বিতন্ডা শুরু হয় ।পরে শুরু হয় হাতাহাতি ।এই মারামারির ঘটনায় নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা এটিএসএফ -এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ।এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান সুলভ কোম্পানির সাফাই কর্মীরা।
এদিকে নতুন দায়িত্ব প্রাপ্ত সংস্থা এটিএসএফ -এর বিরুদ্ধে আরো একটি অভিযোগ রয়েছে।সুলভ কোম্পানির নিয়োজিত জমাদার জানান ,আইজিএম হাসপাতালে গত ১০ বছর ধরে সুলভ কোম্পানির ১৩৬ জন সাফাই কর্মী কাজ করে চলছেন ।এর মধ্যে দুইবার দুটি কোম্পানি দরপত্র আহবান করে কাজের বরাত পায় ।কিন্তু তারা সাফাই কর্মীদের তিন থেকে চার মাস কাজ করিয়ে এক মাসের বেতন দিয়ে কেটে পড়ে। বর্তমানে এটিএসএফ নামে আরও একটি কোম্পানি টেন্ডার এর মাধ্যমে কাজ পেয়েছে ।সংশ্লিষ্ট কোম্পানিটি সুলভ কোম্পানির সাফাই কর্মীদের নিয়োগ করতে চাইছে ।এই ক্ষেত্রে তারা সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মালিকের সাথে সরাসরি কথা বলতে চান বলে জানান তিনি ।তার অভিযোগ ,মালিক পক্ষ নাকি সাফাই কর্মীদের সাথে সরাসরি কথা বলতে রাজি নয়। এটিএসএফ কোম্পানির মালিকপক্ষের এই ধরনের মনোভাবের তীব্র প্রতিবাদ জানান সুলভ কোম্পানির জমাদার।
এদিকে আরও অভিযোগ অল ত্রিপুরা সিকিউরিটি ফোর্স নামক নতুন সংস্থার লোকেরা সুলভ কোম্পানির সাফাই কর্মীদের কাছে কাজ দেওয়ার নাম করে ফ্রম বিক্রি করছে ।ড্রেসের জন্য তাদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে জমা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।এই সমস্ত অভিযোগ এবং ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এদিন আইজিএম হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।