ছেলে মেয়েদের প্রাইভেট পড়ানোর প্রবণতা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে অভিভাবকদের। তবেই ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের পড়াশোনায় সঠিকভাবে মনোনিবেশ করতে পারবে। সোমবার রবীন্দ্রশতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা। চলতি বছরে টিবিএসই ও সিবিএসই পরিচালিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় একশো শতাংশ পাশের হার সম্পন্ন বিদ্যালয়গুলিকে সংবর্ধনা প্রদানের লক্ষ্যে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে আজ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিনের এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের সচিব রাভাল হেমেন্দ্র কুমার এবং দপ্তরের অধিকর্তা এনসি শর্মা সহ অন্যান্যরা। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয়ে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের পরেও ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের মধ্যে প্রাইভেট পড়ার একটি দৌড় পরিলক্ষিত হয়। এটি একটি মানসিক সমস্যা। এর ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে সঠিকভাবে মনোনিবেশ করতে পারেনা, শারীরিকভাবে ক্লাসে উপস্থিত থাকলেও, মানসিক দিক থেকে বিদ্যালয়ের পড়া তারা গ্রহণ করতে পারেনা। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ের পড়ায় মনোনিবেশ করানোর জন্য অভিভাবকদের প্রাইভেট পড়ানোর প্রবণতা থেকে বেড়িয়ে আসার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির উপর নজর দিতে হবে। এর জন্য সরকারী তরফে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিভিন্ন ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা হয়। তিনি আরও বলেন, একশো শতাংশ পাশের হারে আত্মতুষ্টির কোনো অবকাশ নেই। রেজাল্ট নিয়ে আরও গভীরভাবে পর্যালোচনা প্রয়োজন।এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে, ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নতমানের শিক্ষা প্রদান এবং দুঃস্থ মেধাবি ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েও আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ও উপস্থিত অতিথিরা।