TSU রাজ্যের ছাত্র সংগঠনের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এটি মূলত ত্রিপুরার আদিবাসী ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থ রক্ষা, অধিকার আদায়ের আন্দোলন এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সমতা আনার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭১ সালের ১১ই জুন । এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য হল ত্রিপুরার আদিবাসী ছাত্রদের শিক্ষা, ভাষা, সংস্কৃতি, এবং রাজনৈতিক অধিকারের সুরক্ষা ও প্রসারে ভূমিকা রাখা। এই লক্ষকে অবিচল রেখে সোমবার রাজধানীর দশরথ দেব ভবনে অনুষ্ঠিত হল টি এস ইউয়ের কেন্দ্রীয় কমিটির কনভেনশন।
সোমবার টি এস ইউ কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশক্রমে রাজধানীর দশরথ দেব ভবনে অনুষ্ঠিত হল টি এস ইউ কেন্দ্রীয় কমিটির কনভেনশন । এই কনভেনশন মূলত প্রতি ৩ বছর অন্তর অন্তর আগামী দিনের লড়াই সংগ্রামের দিক নির্দেশনা স্থির করার লক্ষেই অনুষ্ঠিত হয় । সেদিকে লক্ষ রেখে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কনভেনশন, কনফারেন্স, লোকাল কনভেনশন , ইউনিট কনভেনশন থেকে শুরু করে সমাপ্তির পর ২৩টি জেলার ১০০০-১৫০০ ডেলিগেট নিয়ে রাজধানীর দশরথ দেব ভবনে টি এস ইউ কেন্দ্রিয় কমিটির কনভেনশন অনুষ্ঠিত হল সোমবার । এদিন কনভেনশন শুরুর পূর্বে দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে কর্মসূচীর সুচনা করেন সংগঠনের নেতৃত্বরা । এদিনের কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, সিপিআইএম নেতা রাধাচরন দেববর্মা ও টি এস ইউ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজিত ত্রিপুরাসহ অন্যান্য নেতৃত্বরা । এদিনের কনভেনশনের মুল লক্ষ নিয়ে টি এস ইউ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজিত ত্রিপুরা সংবাদ মাধ্যমকে জানান বর্তমান রাজ্য সরকারের শিক্ষাক্ষেত্রে জাত, ধর্ম নিয়ে শিক্ষাকে ধর্মীয়করন করার প্রচেষ্টার বিরোধিতা করা , ককবরক ভাষাকে ৮ম তপশিলী অন্তর্ভুক্ত করা, ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ বৃদ্ধি, বিভিন্ন বিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ককবরক ভাষা শিক্ষক নিয়োগ করা এবং তাদের মুল দাবী সবার জন্য কাজ সবার জন্য শিক্ষা এই দাবীকে সামনে রেখে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ছাত্রছাত্রী ও সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে এই কনভেনশনের মধ্য দিয়ে আগামীদিনের লড়াই সংগ্রাম কি হবে তা নির্ধারন করা হবে বলে জানান তিনি ।