বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে চিকিৎসা করাতে এসে ধরা পড়ল বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ১৩ সদস্য। মঙ্গলবার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমতলী থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাঁপানিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা থেকে দুইজন মহিলাসহ মোট ১৩ জন চাকমা সম্প্রদায়ের নাগরিককে গ্রেফতার করে।সূত্রের খবর,ধৃতরা সকলেই বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার বাসিন্দা এবং তারা একটি অপ্রকাশ্য ‘শান্তিরক্ষী বাহিনী’-র সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে যে, মৌলবাদী গোষ্ঠীর নির্মম অত্যাচার থেকে বাঁচতেই তারা দল গঠন করে গোপন আস্তানায় আত্মগোপন করেছিল। সম্প্রতি তাদের শিবিরে ঘটে যাওয়া এক ‘গুরুতর’ ঘটনার পর কয়েকজন আহত হয়, যার জেরেই চিকিৎসার জন্য তারা গোপনে ত্রিপুরা সীমান্ত পেরিয়ে আসে।তবে তাদের এই ‘গোপন অভিযান’ বেশিদিন টেকেনি। হাঁপানিয়া এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একাধিক আধিকারিক আমতলী থানায় উপস্থিত হয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তদন্তে উঠে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃতদের দাবি অনুযায়ী, বাংলাদেশে ড. ইউনুস সরকারের সময়ে মৌলবাদীদের হাতে চাকমা সম্প্রদায় চরম নিপীড়নের শিকার হয়েছিল। এই নির্যাতনের ফলেই তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হয় এবং সেই পথেই তারা এখন ভারতে এসে আশ্রয় খুঁজছে। এদিন গোটা ঘটনার বিষয়ে পুলিশের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সূত্রের খবর,ধৃতদের বিরুদ্ধে বিদেশি নাগরিক আইনে মামলা রুজু করে আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতে তোলা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে আন্তঃদেশীয় নিরাপত্তা ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।