নেশা বিরোধী অভিযানে এবার আবারো বড়সড় সাফল্য আমতলী থানার পুলিশের। গাজা ভর্তি মারুতি গাড়ির পেছনে ধাওয়া করে সেই সাফল্য অর্জন করল আমতলী থানা। বুধবার ভোরে আমতলী থানার সাব-ইন্সপেক্টর হীরেন দেববর্মার কাছে একটি গোপন খবর আসে সেই গোপন খবরের ভিত্তিতে হীরেন দেববর্মার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও টিএসআর বাধারঘাট বিওসি সংলগ্ন আগরতলা সাবরুম জাতীয় সড়কের পাশে উৎপাতে বসে থাকে। কিন্তু সেখানে পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে শুকনো গাজা ভর্তি মারুতি গাড়ি পালিয়ে যায়, পুলিশ ও সঙ্গে সঙ্গে মারুতি গাড়িটির পেছনে ধাওয়া করে। অবশেষে দ্রুতগতিতে আসা মারুতি গাড়িটি ওএনজিসি ফার্স্ট গেটের সামনে অন্য একটি গাড়ির সাথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তখন ওই পেছনে আসা পুলিশ বাহিনী গাড়ির চালক রিশব নম: কে আটক করে মারুতি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫ বস্তায় মোট ৯০ কেজি শুকনো গাজা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত গাড়ি চালকের বাড়ি মধুপুর থানার অন্তর্গত দেবীপুর এলাকায়। পুলিশের কাছে খবর ছিল গাড়িটি আগরতলার দিক থেকে শুকনো গাঁজা নিয়ে মধুপুরের উদ্দেশ্যে যাওয়ার কথা রয়েছে। এই ব্যাপারে বুধবার সকালে আমতলী থানার পুলিশ একটি এনডিপিএস মামলা নথিভুক্ত করে অভিযুক্ত গাড়ি চালককে জোর জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। বুধবার দুপুরে আমতলী থানার সেকেন্ড অফিসার মৃণাল কান্তি পাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এই ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। উদ্ধারকৃত শুকনো গাজার আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে জানিয়েছেন থানার পুলিশ আধিকারিক। তিনি আরো জানিয়েছেন বুধবারই ধৃত গাড়ি চালককে পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হবে। পুলিশের ধারণা অভিযুক্ত গাড়ি চালককে পুলিশ রিমান্ডে এনে জোর জিজ্ঞাসাবাদ চালালে এই গাজা পাচারের সাথে কারা কারা যুক্ত এই সমস্ত কিছু তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে।



