সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগণকে সামনের দিকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে সংবিধান প্রণেতা ডঃ ভীমরাও আম্বেদকরের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য ।বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে সংবিধান প্রণেতা ও ভারতরত্ন ডঃ ভিমরাও আম্বেদকর সম্মান অভিযান শীর্ষক আলোচনায় বললেন বিজেপি সদর শহর জেলা সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য।
ভারতীয় জনতা পার্টির রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে ১৪ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় জেলায় সংবিধান প্রণেতা ও ভারতরত্ন ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কর্মশালা আয়োজিত হচ্ছে। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে বিজেপির সদর শহর জেলার উদ্যোগে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয় ।এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সদর শহর জেলা বিজেপি সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য ,রাজ্য নেত্রী পাপিয়া দত্ত, প্রাক্তন বিধায়ক ডাক্তার দিলীপ দাস সহ অন্যান্যরা ।এদিন ভারত মাতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে এই কর্মশালা শুরু হয় ।কর্মশালায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির সদর শহর জেলা সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য জানান ,স্বাধীন ভারতবর্ষে সংবিধান প্রণেতা ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর কে যোগ্য সম্মান কেউ দিতে চাননি ।দীর্ঘ বছর বাদে দেশের প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধান প্রণেতাকে ভারতরত্ন সম্মান প্রদান করে।তিনি আরো জানান ,মহাত্মা গান্ধী এবং পন্ডিত জহরলাল নেহেরুর সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আম্বেদকরের মতবিরোধ ছিল ।তারপরও সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগণকে সামনের সারিতে তুলে আনার ক্ষেত্রে সংবিধান প্রণেতা ডঃ বি আর আম্বেদকর এর অবদান ছিল লক্ষণীয়।
এই কর্মশালায় অন্যান্য বিজেপি নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন ।বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ সংবিধান প্রণেতা ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর এর জীবনীর বিভিন্ন বিষয়গুলি তুলে ধরেন।