দিব্যাঙ্গদের দক্ষতা ও সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে রাজ্যের সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তর এবং যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে বুধবার থেকে দুদিন ব্যাপী রাজ্যভিত্তিক ‘খেলো ত্রিপুরা প্যারা গেমসের’ উদ্বোধন হয় রাজধানীর স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে। বৃহস্পতিবার ছিলো এই আসরের দ্বিতীয় তথা শেষদিন। এদিন খেলা শেষে বিভিন্ন বিভাগে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন ক্রীড়ামন্ত্রী সহ উপস্থিত অতিথিরা।
দিব্যাঙ্গজনেরা আর পাঁচজন সাধারণ মানুষ থেকে কোনো অংশে কম নয়। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দিব্যাঙ্গরা তাদের প্রতিভা ও দক্ষতার পরিচয় রেখেছে। তাই দিব্যাঙ্গদের দক্ষতা ও সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে রাজ্যের সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তর এবং যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে বুধবার থেকে দুদিন ব্যাপী রাজ্যভিত্তিক ‘খেলো ত্রিপুরা প্যারা গেমসের’ উদ্বোধন হয় রাজধানীর স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে। এই আসরে মোট ১৪টি ইভেন্টে খেলার আয়োজন করা হয়। এরমধ্যে ছিলো ক্রিকেট,ফুটবল, হুইল চেয়ার দৌড়,দাবা, লং জাম্প, ক্যারাম, টাগ-অফ-ওয়ার, রিং থ্রো, মিউজিক্যাল বল এবং মিউজিক্যাল চেয়ার সহ আরো বিভিন্ন গেইম। বৃহস্পতিবার ছিলো এই আসরের দ্বিতীয় তথা শেষদিন। এদিন মাঠে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় এবং স্পেশাল অলিম্পিক্স ভারতের সভাপতি মল্লিকা নাড্ডা সহ অন্যান্যরা। এদিন খেলা শেষে বিভিন্ন বিভাগে বিজয়ীদের মেডেল পরিয়ে তাদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন মন্ত্রী সহ উপস্থিত অতিথিরা। এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখী হয়ে মন্ত্রী বলেন, রাজ্যভিত্তিক এই প্যারা গেইমসের আসরকে কেন্দ্র করে মাঠে বিভিন্ন লাইন ডিপার্টমেন্টের স্টল খোলা হয়েছে। এর মাধ্যমে রাজ্যের ৬০ শতাংশের অধিক দিব্যাঙ্গরা তৎক্ষনাৎ সরকারী সার্টিফিকেট লাভের পাশাপাশি সামাজিক ভাতা লাভ করেছেন। দুদিনে প্রায় তিন হাজারের কাছাকাছি দিব্যাঙ্গদের দপ্তরের উদ্যোগে সামাজিক ভাতার সেঙ্কশান লেটার প্রদান করা হয়েছে বলে জানান ক্রীড়ামন্ত্রী।
উল্লেখ্য, দুদিন ব্যাপী আয়োজিত এই রাজ্যভিত্তিক ‘খেলো ত্রিপুরা প্যারা গেমসের’ উদ্বোধনী পর্বে বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে ত্রিপুরা দিব্যাঙ্গ স্টেট পলিসির উদ্বোধন হয়।রাজ্যের ৮ জেলা থেকে প্রতিযোগি প্রতিযোগিনীরা এই ক্রীড়া আসরে অংশ গ্রহন করেন।