তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি
বাড়িতে ভাত খেতে বসে খাওয়া আর হলো না ৩০ বছর বয়সী সুবল দাসের। হঠাৎ করে বমি সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির পাম্প কলে মুখ ধুতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। বাড়ি কল্যাণপুর থানাধীন দক্ষিণ ঘিলাতলী এলাকায়। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির পাশের এক টমটমে করে নিয়ে আসা হয় তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই ঘটে আর এক বিপত্তি। হাসপাতাল মুখে উঠতেই বাক নিতে গিয়ে টমটম যায় উল্টে সাথে ছিল নিজ স্ত্রী ও সাত বছরের এক শিশু কন্যা। আহত হয় তারা দুজনই। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীরা লক্ষ্য করে তাদের হাসপাতালে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে। হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। অন্যদিকে মৃত ব্যক্তির স্ত্রী র চিকিৎসা চলছে তেলিয়ামুড়া মহাকুমা হাসপাতালে তিনি জানতেনই না এতোটুকু সময়ের মধ্যে উনি উনার স্বামীকে হারিয়েছেন। খবর দেওয়া হয় জীবন দাসের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনরা সবাই আসে হাসপাতালে। সন্ধ্যা নাগাদ নিজ স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। সেই সাথে শিশু কন্যাটিও নিজের বাবাকে হারিয়ে চিৎকার করে কাঁপতে থাকে। পরবর্তী সময়ে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। জীবন দাশের মৃত্যুতে গোটা এলাকায় সুখের ছায়া নেমে আসে। হাসপাতালে পৌঁছে পুলিশ ঘটনার তদন্ত চলছে।